সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হলো চন্দ্রমহল ইকোপার্ক থেকে উদ্ধারকৃত বন্যপ্রাণী
বাগেরহাটের চন্দ্রমহল ইকোপার্ক থেকে উদ্ধার করা বন্যপ্রাণী সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৬ খুলনা এবং বন বিভাগের কর্মকর্তারা সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির মোট ১৭টি প্রাণী অবমুক্ত করেন।
এ সময় র্যাব-৬ খুলনার কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, খুলনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল, মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো. মফিজুর রহমান, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবীরসহ বন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অবমুক্ত করা বন্যপ্রাণীগুলোর মধ্যে রয়েছে- একটি কুমির, দু’টি হরিণ, তিনটি বানর, দু’টি কচ্ছপ, সাতটি বক ও দু’টি মাছমুড়াল পাখি।
গত ১৫ নভেম্বর বাগেরহাট সদর উপজেলার রণজিতপুরে অবস্থিত চন্দ্রমহল ইকোপার্ক থেকে ময়ূর, ঘুঘুসহ ১৬ প্রজাতির ৪৩টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এবং র্যাব-৬ বন্যপ্রাণীগুলো উদ্ধার করে। ৪৩টি বন্যপ্রাণীর মধ্যে ১৭টি প্রাণী সুন্দরবনের করমজলে আর বাকী প্রাণীগুলোকে সাফারি পার্ক, যশোরের কেশবপুর ও বন বিভাগের বিভাগীয় দপ্তরে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, খুলনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল।
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবীর বলেন, চোরা শিকারি ও পাচার চক্রের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া বন্যপ্রাণী বিভিন্ন সময় করমজল এলাকায় অবমুক্ত করা হয়। অবমুক্ত করা এসব বন্যপ্রাণী করমজলে প্রাকৃতিক পরিবেশে নিজেদের মতো করে বসবাস করে।
এখানে অবমুক্ত প্রাণিগুলো যাতে সুস্থভাবে বনে ফিরে যেতে পারে, এজন্য আমাদের নজরদারি থাকে। আশা করি, ইকোপার্কের যেসব প্রাণী এখানে অবমুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো সুন্দরবনে ভালই থাকবে।
র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার এসপি আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি রক্ষায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে র্যাব-৬। এরই অংশ হিসেবে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চন্দ্রমহল ইকোপার্ক থেকে বেশ কিছু বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়।
পরে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রাণীগুলোকে সুন্দরবনের করমজল এলাকায় অবমুক্ত করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী রক্ষায় ভবিষ্যতেও র্যাবের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।