সিরাজগঞ্জ এবং কাজিপুর পয়েন্টে গত ৩ দিন ধরে অব্যাহতভাবে যমুনায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে আজ শুক্রবার সকালে আবারো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর হার্ড পয়েন্টে পানি ১৪ সেন্টিমিটার বেড়ে শুক্রবার সকালে তা বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অপরদিকে, কাজিপুর পয়েন্টেও পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় এই পয়েন্টে পানি বেড়েছে ১২ সেন্টিমিটার।
এদিকে, যমুনায় পানি বাড়তে শুরু করায় যমুনা নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষের চোখে মুখে দেখা দিয়েছে দুশ্চিন্তার ছাপ। নদী তীরবর্তী অঞ্চলের কৃষকরা জানান অসময়ে এমনভাবে দফায় দফায় যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর হয়তো তাদের ফসলের শেষ রক্ষা হবে না।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে পানি ১৪ সেন্টিমিটার বেড়ে শুক্রবার সকালে তা বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া কাজিপুর পয়েন্ট যমুনা নদীর পানি ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
দফায় দফায় যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার অভ্যন্তরীন সকল নদ-নদীর পানিও বেড়েছে। তলিয়ে গেছে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের চাষ করা রোপা আমন ধান, সবজি ও নতুন করে বোনা মাসকলাইয়ের জমি। যে কারণে আবারো ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ার আশংকায় রয়েছে জেলার কৃষকেরা।
স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জুন মাসের প্রথম থেকে শুরু হওয়া তিন দফা দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় ইতোমধ্যে কৃষিখাতে প্রায় সোয়া ২ শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা আবারো উঠে দাঁড়াতে রোপা আমন ধান চাষ, মাসকলাই, গম, ভুট্টা ও সবজিসহ নানা ফসল আবাদ করে। কিন্ত যমুনায় পানিবৃদ্ধি পাওয়ায় আবারো ক্ষতির আশংকায় অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। বর্তমানে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে আছে।