শীত আসার মনেই কষ্ট শুরু ছিন্নমূল মানুষ আর গরীব চাষীদের। শীতের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয় এসকল অসহায় মানুষগুলোকে। শীতের পোশাক অভাব আর বিভিন্ন রোগব্যাধিতে আক্রান্ত এই মানুষদের পাশে দাঁড়ায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আর সরকারী অনুদান। আসে বিদেশী অনুদানও। কিন্তু সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় চাষীদের। চাষীদের বেশি সমস্যা হওয়ার কারণ হচ্ছে শীতের কারণে ফসলের মারাত্মক ক্ষতি যা কিনা সকল পরিশ্রমকে পর্ড করে দেয়।
প্রায় দেখা যাচ্ছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর ২০১৯) পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো। গতকাল ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ৬.৩ থাকলেও সময় অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও কমতে থাকে তাপমাত্রা । দেখা যায় সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাতে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা। দেখা মেলে ঘন কুয়াশায় আবৃত চারদিক। এদিকে সকাল ১০টার সূর্যের দেখা মিললেও বাতাসের কারণে অনুভূত হচ্ছে হাড় কাঁপানো শীত ।
তাপমাত্রার পারদ নেমে যাওয়ার সাথে সাথে চরম দুর্ভোগে পড়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। প্রতিনিয়ত শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে হাজারও মানুষ । শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকে হয়ে পড়ছেন অসুস্থ । অন্যদিকে ছিন্নমূল মানুষের অভিযোগ তাদের খবর নিচ্ছেন না কেউ।
দেখা যাচ্ছে প্রচণ্ড শীতের কারণে চাষীরাও পড়েছে ব্যাপক দুর্ভোগে । প্রচন্ড শীতের প্রভাবে সবজি ক্ষেতে কমে যাচ্ছে ফলন । গাছে গাছে আক্রমন করছে পোকা । ঝরে পড়ছে পাতা, ফুল ও ফল ।