শীতের কাঁপনে থরথর করে কাঁপছে উত্তরের মানুষ। কয়েক দিন ধরে রাতে কুয়াশার কারণে পথঘাটে হেডলাইট জ্বালিয়েও যানবাহন চালাতে সমস্যায় পড়ছেন চালকরা। দিনের কিছু সময় সূর্যের দেখা মিললেও তাতে নেই তেমন উত্তাপ।গতকাল রবিবার (১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯) পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল। সেখানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের প্রকোপ বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। জেলার হাসপাতালগুলোতে দিন দিন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে ডায়েরিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বেশি।
কুড়িগ্রামের উলিপুরে কয়েক দিন ধরে শীত বেড়েছে। সন্ধ্যা নামলেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে জনপদ। ফলে প্রচণ্ড শীতে চরম বিপাকে পড়ছে মানুষ। বিশেষ করে অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এদিকে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে শীতবস্ত্রের অভাবে হতদরিদ্র পরিবারের কয়েক হাজার মানুষ শীতে কষ্ট পাচ্ছে। এর মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলের বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছে। টাকার অভাবে অনেকেই শীতবস্ত্র কিনতে পারছে না। প্রতিবছর শীতের শুরু থেকে এলাকায় শীতার্তদের মাঝে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। কিন্তু এবার তা লক্ষ করা যাচ্ছে না।
দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মণ্ডল বলেন, ‘সরকারিভাবে এ পর্যন্ত মাত্র ১২৫টি কম্বল পেয়েছি। এর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আরো কিছু কম্বল কিনে সেগুলো মেম্বারদের মাধ্যমে এলাকার হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করেছি।’