27 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
সন্ধ্যা ৬:০৩ | ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
বায়ু দূষণে শীর্ষে সাভার ও ত্রিশাল, জনজীবন বিপর্যস্ত
আন্তর্জাতিক পরিবেশ

শিশু মৃত্যু, বিষাক্ত গ্যাসধোঁয়া ও  বায়ু দূষণের শীর্ষে রয়েছে ভারতবর্ষ

শিশু মৃত্যু, বিষাক্ত গ্যাসধোঁয়া ও  বায়ু দূষণের শীর্ষে রয়েছে ভারতবর্ষ

ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, কারণ ইহা ক্যান্সারের কারণ। এই ট্যাগ লাইনটা আমরা সবাই জানি। সময়ের দাবি মেনে এটাকে আরো বড় করে লেখা হোক –

“বায়ুদূষণ স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক, কারণ ইহা মানুষের মৃত্যু ও ক্যান্সারের কারণ”।

বাড়তে থাকা বৈশ্বিক উষ্ণতা, বরফের গলন, জলবায়ুর পরিবর্তন, সমুদ্র- দূষণের হাত ধরে মানবসভ্যতা “ষষ্ঠ গন অবলুপ্তির” যুগে প্রবেশ করেছে। আর নানান কিসিমের পরিবেশ দূষণের মধ্যে শুধুমাত্র বায়ুদূষণই সমাজ জীবনে এক গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে।

বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে আমাদের জীবনে এমনকি নবজাতকসহ মাতৃগর্ভে থাকা শিশুদের ওপর, তার তত্ত্বতালাশ করবো এই নিবন্ধে। সন্তানের জন্ম ও প্রতিপালনের ক্ষেত্রে মায়েদের নির্ণায়ক ভূমিকা কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কোটি-কোটি উপকারী ব্যাকটেরিয়া- অনুজীবের ধ্বংসসাধনের কারণে সেই দিকটিও নিয়ে আসব এই আলোচনায়। খুঁজে দেখার চেষ্টা করব প্রকৃতির সন্তান শিশুদের আজ কতটা প্রকৃতি বিমুখ করে গড়ে তোলা হচ্ছে।

বায়ু দূষণ ও শিশু মৃত্যু:

সম্প্রতি প্রকাশিত কিছু খবরের দিকে চোখ রাখা যাক। মৃত্যু ও স্বাস্থ্যের সাথে বায়ু দূষণের সম্পর্কের ওপর বিশ্বজুড়ে চালানো সমীক্ষা/ গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে অতি সম্প্রতি (State of Global Air, 2020)। এই রিপোর্টের নির্যাস- ২০১৯ সালেই সারা পৃথিবীতে কম করে পাঁচ লক্ষ নবজাতকের প্রাণ কেড়েছে দূষিত বায়ু, যাদের মধ্যে অধিকাংশই আবার ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে।

উদ্বেগ বহুগুণ বাড়িয়ে রিপোর্ট বলছে- মাতৃগর্ভে থাকা শিশুদের ওপর ভয়ানক প্রভাব ফেলছে বায়ুদূষণ। যার ফলে সময়ের আগেই কম ওজনের শিশুদের জন্মের হার বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশু মৃত্যু। বয়স্কদের উপর বায়ু দূষণের প্রভাব দীর্ঘদিন ধরেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলে চলেছেন। কিন্তু শিশু মৃত্যুর ওপর বিশ্বজুড়ে এই ধরনের বিস্তারিত সমীক্ষা এই প্রথম। বিশদে জানতে নিচের তালিকা দেখুন।

কি বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা:

বিভিন্ন দেশে অসংখ্য গবেষণার মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের মুখ্য বিজ্ঞানী Katherine Walker (principal scientist of Health Effects Institute) শিশু মৃত্যুর ব্যাপক হারের সাথে মহামারীর যোগসূত্র টেনেছেন। সংস্থার সভাপতি Dan Greenbaum লিখছেন-” শিশুদের জন্ম হচ্ছে অতি উচ্চমাত্রার দূষণের মধ্যে।কম ওজনের নবজাতকের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া সহ নানান ধরনের সংক্রমণ হচ্ছে। তাদের ফুসফুসের গঠন ও বৃদ্ধি ঠিকমত হচ্ছে না”।

অতিমারী সংক্রান্ত গবেষক বিজ্ঞানী Beate Ritz (University of California) অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে জানিয়েছেন-” ভারত, দক্ষিন-পুর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার মত দেশের ঘরের ভিতরের বায়ুদূষণ ভিক্টোরিয়ান যুগের লন্ডনের সমতুল”।

তিনি আরো বলছেন-” আক্রান্ত শিশুরা বেঁচে গেলেও তাদের মস্তিষ্ক সহ দেহের নানা যন্ত্রাংশ-এর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সুতরাং বায়ুদূষণের সমাধান যে কোন মূল্যে আমাদের করতে হবে”।

ঘরের ভিতরের দূষণের সাথে কারখানা ও যানবাহন থেকে নির্গত কালো বিষাক্ত গ্যাস ধোঁয়া এবং অত্যধিক জন- ঘনত্ব এই সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে। তথ্য বলছে ২০১৯ সালে বিশ্ব কম করে ৬৭ লক্ষ মানুষ মারা গেছেন শুধুমাত্র বায়ু দূষণ ও তার কারণে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, মধুমেহ, ক্যান্সার সহ ফুসফুসের অনেক জটিল রোগ মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে যাওয়ার।

ভারতবর্ষে এই সংখ্যাটা ছিল প্রায় ১৭ লক্ষ। ভারতবর্ষের ১২২ টি বড় শহরের মধ্যে ৫৯ টি শহরের ২.৫ পার্টিকুলেট ম্যাটারের তথ্য পাওয়া গেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে নয়ডা ও দিল্লি বায়ু দূষণের শীর্ষে রয়েছে। ওখানকার পরিস্থিতি ভয়ানক। বাকি দূষিত শহর গুলির মধ্যে গাজিয়াবাদ, মুজাফরপুর, কানপুর, চন্ডিগড়, হাওড়া ও কলকাতার অবস্থা ভয়ঙ্কর (The Indian Express,29.10.20)।

দশেরার সময় ব্যাপকহারে বাজি ফাটানোর কারণে দিল্লি সহ একাধিক শহরে দশ মাইক্রন ব্যাসার্ধের ভাসমান দূষিত কণার সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়ে যায়।এই ডিসেম্বরের বেশ কয়েকটি দিন দিল্লী ও কলকাতার বায়ুদূষণ স্বাভাবিক মাত্রার অনেক ওপরে, যাকে বিজ্ঞানীদের ভাষায় বলা হচ্ছে অতি ক্ষতিকারক অবস্থা।

এর মধ্যে আর একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে (Air Quality Life Index,2020-Energy Policy Institute, University of Chicago)। যা জানা গেছে- গাঙ্গেয় উপত্যকায় বসবাসকারী ভারতের এক চতুর্থাংশ জনগনের আয়ু গড়ে দশ বছর করে কমে যাচ্ছে ব্যাপক বায়ুদূষণের কারণে। আর এর প্রভাবের পরর্বতী পর্যায়ে রয়েছে প্রতিবেশী বাংলাদেশ।

এর সাথে যোগ হচ্ছে শীতকালে বাতাসের চলাচল ও বেগ কম থাকায় লক্ষ লক্ষ যানবাহন ও হাজার হাজার কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়া- গ্যাস ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি থেকে যাওয়ায় একেবারে গ্যাস চেম্বারে রূপ নেয় শহরগুলি।

অতি সম্প্রতি (22.12.2020) “The India State-level Disease Burden Initiative” এর রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। বায়ুদূষণের কারণে স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির উপর কী প্রভাব পড়েছে সেই সংক্রান্ত গবেষণার রিপোর্টে হাড় কাঁপানো তথ্য সামনে এসেছে।

যার মূল প্রতিপাদ্য-২০১৯ সালে শুধুমাত্র বায়ুদূষণের কারণেই ভারতে মৃত্যু হয়েছে ১৭ লক্ষ মানুষের, যা দেশের মোট মৃত্যুর ১৮ শতাংশ। এবং এই কারণে দেশের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে মোট ২.৬ লক্ষ কোটি টাকার। কোন ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম।

বায়ুদূষণ ও মানসিক জগতে অস্থিরতা:

ডাক্তার গবেষকরা স্বীকার করেছেন- বায়ুদূষণ ফুসফুস, হার্ট সহ শরীরের প্রায় সব কয়টি অঙ্গকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে, কিন্তু বায়ু দূষণের অন্য একটি দিকও আছে। গবেষণায় জানা যাচ্ছে ডিজেল চালিত যানবাহন থেকে নির্গত নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড মানসিক সমস্যার কারণ ৩৯ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়।

এটা ঠিক যে, মানসিক রোগের ক্ষেত্রে আরো অনেক কিছু কারণ আছে। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণা, সমীক্ষার রিপোর্ট থেকে এটা স্পষ্ট- উন্নত দেশগুলোর প্রত্যেকটি শহরে বায়ু দূষণের মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনের অনেক উপরে এবং পৃথিবীর ৯০% মানুষই দূষিত বায়ু পান করেন। ফলে শিশুসহ একটা বড় অংশের মানুষের মধ্যে শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি মানসিক অস্থিরতা উদ্বেগ হতাশা বাড়ছে, এমনকি এই কারণে আত্মহত্যার ঘটনাও বাড়ছে।

লন্ডনের ইম্পেরিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ডক্টর Ian Mudway লিখেছেন-” মানসিক রোগের প্রকোপ শহরগুলোতেই বেশি। মানসিক সমস্যার আর্থসামাজিক কারণগুলির সমাধান করতে পারলেও শহরের বাতাসে বায়ুদূষণ থেকেই যাবে”। এই গবেষণার বিষয় Social Psychology and Psychiatric Epidemiology তে প্রকাশিত হয়েছে।

ছিন্নমস্তা উন্নয়উন্নয়নের রথে চেপে নির্বিচারে সবুজ বনানী ধ্বংসের পক্ষে সওয়াল করবেন, কলকারখানা ও আরো আরো অট্টালিকার ঠাণ্ডা ঘরে বসে আরো বেশি করে দূষিত বায়ু পান করবেন, না কি স্বচ্ছ নির্মল আকাশ, মুক্ত বাতাস ফিরে পাওয়ার স্বপ্নে মশগুল হবেন? আমাদের ছেলে মেয়ে নাতি পুতি যাদের আমরা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি বলে দাবি করি অন্তত তাদের জন্য একটা দূষণমুক্ত প্রকৃতি পরিবেশ রেখে যাওয়ার অঙ্গিকার করি এখনই, নাহলে বড় দেরী হয়ে যাবে।

সেই ফাঁকে আমরা খুঁজে দেখার চেষ্টা করি- কেন এত শিশুমৃত্যু জন্মের কয়েক মাসের মধ্যেই এমনকি মাতৃগর্ভেই। প্রকৃতি বিমুখতা, প্রকৃতি বিচ্ছিন্নতা কোথায় নিয়ে চলেছে আমাদের?

সন্তানের জন্ম ও বেড়ে ওঠায় প্রকৃতি ও মায়েদের ভূমিকা:

সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে পুরুষের শুক্রাণু শুধুমাত্র নারীদের ডিম্বাণু নিষিক্ত করার কাজে লাগে। পুরুষের এইটুকু ভূমিকার পর সন্তানের জন্ম ও বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে পুরোটাই নারীদের অপরিসীম অবদান। আর এই প্রক্রিয়ায় যোগ্য সঙ্গত করে প্রকৃতি পরিবেশ।

বিজ্ঞান বলছে একটি মানুষের শরীরে ৩৯ ট্রিলিয়ন উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই কোটি কোটি অনুজীব মানুষের নাক কান মুখ দিয়ে অন্ত্রে প্রবেশ করে। এর একটা অংশ নিয়ে গড়ে ওঠে প্লেসেন্টাল মাইক্রোবায়োম। নারীর গর্ভে অমরার (placenta) জলীয় স্তরে ভ্রূণ ভেসে থাকে, যাকে পুষ্টির যোগান ও সমস্ত রকমের সুরক্ষা দেয় প্লেসেন্টাল মাইক্রোবায়োম । সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার প্রক্রিয়ায় এইসব উপকারি বন্ধু ব্যাকটেরিয়ার দল বাসা বাঁধে মায়ের স্তনে। তৈরি হয় প্রকৃতির অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ কলোস্ট্রাম (colostrum)। যার উপকার বলে শেষ করা যায় না।

প্রথমত- সদ্যোজাতদের পেটে জমা হয় প্রচুর পরিমাণ বিলুরুবিন। সদ্যোজাতকে মায়ের বুকের প্রথম দুধ খাওয়ালে এইসব উপজাত শিশুর মলের (meconium) সাথে বেরিয়ে যায়।

দ্বিতীয়ত- প্রোটিন পুষ্টির যোগান দেওয়ার পাশাপাশি কোলোস্ট্রাম বাচ্চাদের শরীরে প্রতিষেধক ও এন্টিবায়োটিক তৈরি করে, যা একটি শিশুর সুস্থ-সবল ভাবে বেড়ে ওঠার প্রধান কারিগর। কম ওজনের নবজাতককে কোলোস্ট্রাম খাওয়ালে তার ওজন বৃদ্ধিতেও প্রভূত সাহায্য করে। আর শিশুদের ছয় মাস ধরে শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাইয়ে গেলে তাদের পুষ্টি- বৃদ্ধি- শারীরিক গঠন তৈরিতে যে অসাধ্য সাধন করে তা পাঠকদের কমবেশি জানা।

তাহলে সমস্যা কোথায়?

পানি- বাতাসের দূষণ, সামুদ্রিক দূষণ, সামুদ্রিক শ্যাওলার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি (অ্যালগাল ব্লুম) ও ডেড- জোনের কবলে পড়ে কোটি কোটি উপকারি ব্যাকটেরিয়া প্রতিনিয়ত হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতি থেকে, মুষ্টিমেয় মানুষের মুনাফা ও ব্যবসার স্বার্থে নির্বিচারে অরণ্য নিধন ও জঙ্গল জ্বালিয়ে দেওয়ার কারণে জুনোটিক ভাইরাসের দল জঙ্গল ছেড়ে পঙপালের মত মানুষের শরীরে হানা দিচ্ছে, যার সম্ভাবনা অদূর ভবিষ্যতে আরো বেশি বেশি করে ঘটবে, এমনটাই আশঙ্কা বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদদের। মায়েদের শরীরে ও গর্ভজাত ভ্রূণের ওপরও যার প্রভাব পড়ছে।

অন্যদিকে আবার বর্তমান কর্পোরেট পরিচালিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও বেবি ফুডের রমরমা শিশুদের বঞ্চিত করছে কোলোস্ট্রাম সহ মাতৃদুগ্ধ পান থেকে। যার ফল পাচ্ছি আমরা হাতেনাতে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে অপ্রাকৃতিক অস্বাভাবিক খাদ্যাভাস।

মায়ের দুধের পরিবর্তে কৌটোর দুধ (!); ভাত রুটি ডাল সবজি ফল মূল মাছ ডিম- এর পরিবর্তে গাদা গাদা চকলেট চিপস ঠান্ডা পানীয় পিত্জা বার্গারের মত জাঙ্ক ফুড ও ফাস্ট ফুড খেয়ে খেয়ে শিশুরা হয়ে পড়ছে ওবেসিটির শিকার। যার ফল- অকাল স্থূলতা, হজমের সমস্যা, ডায়াবেটিসের রমরমা।

বাতাস-মাটি-পানি; ফুল-ফল- পাখিদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে শিশুদের বড় করা হচ্ছে জীবাণুনাশক ও সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুয়িয়ে ঝকঝকে তকতকে মার্বেলের বদ্ধ ঘরে; শীততাপ যন্ত্র চালিত ঘরে, গাড়িতে ও বিদ্যালয়ে। প্রকৃতির কোলে বেড়ে ওঠার পরিবর্তে প্রকৃতি বিচ্ছিন্ন এইসব শিশুদের ভাগ্যে জুটছে হাজারো রোগ, দেখা যাচ্ছে অস্বাভাবিকতা, অপ্রাকৃতিকতা। ফল যা হবার তাই ঘটছে।

পরিশেষে আমরা যা বলতে পারি

ফিনান্স-পুঁজির যুগে বহুজাতিক কর্পোরেটদের মুনাফার স্বার্থে একদিকে চলছে নির্বিচারে প্রকৃতি লুঠ। অন্যদিকে মানুষকে প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে ওদেরই তৈরি করে দেওয়া অপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দিকে আরো বেশি বেশি করে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

তাই শিশু সহ বড়দের বাঁচতে হলে প্রকৃতি ও পুঁজির দ্বন্দ্বকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। ভাবতে হবে নতুন করে। ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিলিয়ন উপকারি ব্যাকটেরিয়দের প্রকৃতিতে ফিরিয়ে আনতে হবে, নচেৎ ক্যান্সার সহ হাজারো রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়বে।

জীবাশ্ব জ্বালানির ব্যবহার যত বেশি সম্ভব অতি দ্রুত কমাতে হবে, নাহলে বায়ুদূষণে নবজাতক শিশু সহ ফি বছর কোটি কোটি মানুষের মৃত্যু মিছিল লম্বা হতেই থাকবে।

নারী ও প্রকৃতিকে সমান গুরুত্ব দিয়ে মেটাবলিক রিফ্টের সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। তাই আজ ‘ইকোফেমিনিজম’র কথা সামনে আসছে। প্রকৃতিকে বাঁচাতে পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ছাত্র ছাত্রী, যুবা বাহিনী সহ নারীরাও এগিয়ে আসছেন সামনের সারিতে, এটাই কিছুটা ভরসা ও আশা জাগায় মনে।।

তথ্যসূত্র:
১. আউটলুক
২. মেডিকেল নিউজ টুডে

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত