লোহিত সাগরের পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে
গত মাসে হুথিদের হামলায় ডুবে যাওয়া মালবাহী জাহাজটি লোহিত সাগরের পরিবেশকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে বলে সতর্ক করেছে ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার।
এরই মধ্যে বেলিজ-পতাকাবাহী জাহাজটি পরিদর্শন করেছে ইয়েমেনের সরকারি দল। শনিবার এক বিবৃতিতে ইয়েমেন সরকার জানায়, শুক্রবার রাতে ব্রিটিশ মালিকানাধীন মালবাহী জাহাজ রুবিমার দক্ষিণ লোহিত সাগরে আংশিক ডুবে গেছে। কয়েকদিনের মধ্যে এটি পুরোপুরি ডুবে যাবে।
মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, হুথিদের হামলায় মালবাহী জাহাজটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জাহাজটির অবস্থান থেকে আশপাশের ২৯ কিলোমিটার এলাকায় তেল ছড়িয়ে পড়ে। হামলার সময় জাহাজটিতে ৪১ হাজার মেট্রিক টনের বেশি সার ছিল বলেও দাবি করেছে তারা।
জর্ডান বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্স স্টেশনের পরিচালক আলী আল-সাওয়ালমিহ বলেছেন, লোহিত সাগরে এত বেশি পরিমাণে সার মিশে যাওয়ার ঘটনা সামুদ্রিক প্রাণিদের জন্য মারাত্মক হুমকির সৃষ্টি করেছে।
অতিরিক্ত পুষ্টি শৈবালের বৃদ্ধিকে তরান্বিত করতে পারে। ফলে বেশি পরিমাণ অক্সিজেন প্রয়োজন হবে। আর এভাবে সামুদ্রিক প্রাণিগুলো বেঁচে থাকতে পারবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দক্ষিণ লোহিত সাগরে আদিম প্রবাল প্রাচীর, উপকূলীয় ম্যানগ্রোভ এবং বৈচিত্র্যময় সামুদ্রিক প্রাণিদের বসবাস। তাই লোহিত সাগরকে পর্যবেক্ষণসহ এর পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে দ্রুত একটি পরিকল্পনা নিতে আশপাশের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাওয়ালমিহ।
গত বছর, জাতিসংঘ ইয়েমেন উপকূলে ক্ষতিগ্রস্ত সুপারট্যাঙ্কার থেকে এক মিলিয়ন ব্যারেল তেল সরিয়ে নেওয়ার ফলে সম্ভাব্য পরিবেশগত বিপর্যয় এড়ায় সাগরটি।
ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা গত নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে লোহিত ও কৃষ্ণ সাগরে ইসরায়েল ও পশ্চিমা বাণিজ্যিক জাহাজগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে।
হামলা শুরুর পর লোহিত সাগরে জাহাজডুবির প্রথম ঘটনা এটি। গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানাতেই হামলা চালিয়ে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছে তারা।