প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরতে প্রায় সবারই ভালো লাগে। আর প্রাকৃতিক পরিবেশ আছে বলেই মানুষ মনের আনন্দে গাঁ ভাসিয়ে উপভোগ করতে পারে প্রকৃতিক সৌন্দর্য। পরিবেশ সুন্দর রাখতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ আর কাজ করে থাকে মানুষ। আমাদের পরিবেশ সুন্দর মানেই আমরাও সুন্দর । খারাপ পরিবেশে বসবাস করাটা সভ্য মানুষের পক্ষে শোভা পায় না। প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন শক্ত অবস্থানে। ঘোষণা দেওয়া হয়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করে কোনো ধরনের উন্নয়ন নয়। আবার প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য কাজও করে যাচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। দেশের নগরগুলোকে সাজানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তেমনই একটি নগর রাজশাহী নগর।
আমার শহর ও নগরের বিভিন্ন স্থানে দেখেছি বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ লাগাতে। আবার কখনও দেখেছি লাগানো সেই ফুলগাছগুলোতে ফুল ফুটে ভরে আছে। কিন্তু রাজশহী নগরীতে এবার দেখা যাচ্ছে ভিন্ন ফুলের মেলা। নগরের সিঅ্যান্ডবি মোড় থেকে কোর্টবাজার পর্যন্ত ডিভাইডারটি এখন সূর্যমুখী ফুলের দখলে। এ শহরে অনেক দিন ধরেই লাগানো হচ্ছে ফুল গাছ কিন্তু তাই বলে সূর্যমুখী ফুল ! অবাক হওয়ারই কথা কারণ এবারই প্রথম সূর্যমুখী ফুল লাগানো হয়েছে। তবে বলতে দিধা নেই যে, সূর্যমুখী ফুল লাগানোর জন্য মানুষের একঘেয়েমির অবসান ঘটেছে। শহরের পরিবেশ সব সময় এক মানেই একঘেয়েমি। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে অফিসে যাওয়ার সময় একই দৃশ্য আর কত ভালো লাগে । সূর্যমুখী এবার শহরের মানুষের নজর কাড়বে বলে আশা করা যায়। কিন্তু এই সূর্যমুখী ফুল দেখতে মানুষের বড় অভাব যে এখন। কারোনাভাইরাস মহামারীতে মানুষ এখন ঘরবন্ধি অবস্থায় জীবন যাপন করছে। রাস্তার মানুষের সংখ্যা খুবই কম। যারা বাইরে আসছে তাদের এখন আর ফুল দেখার সময় নেই।