সবুজ শ্যামলে ঘেরা এই পৃথিবীতে রয়েছে অনেক ধরনের শাক-সবজি আর গাছপালা। আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকারে আসে এসব শাক-সবজি আর গাছপালা।
হাড়ের যত্নের ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষই খুব উদাসীন হয়ে থাকে। এর ফলে দেখা দেয় ক্যালসিয়াম অভাবজনিত রোগব্যাধি। মানবদেহের হাড় গঠনে ক্যালসিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আমরা অনেকে ক্যালসিয়ামের অভাব হাড়েহাড়ে টের পাই। সিঁড়ি ভাঙতে গেলে, একটু হাঁটাহাটি করতে গেলে কুঁকড়ে উঠি ব্যথায়, পা আর চলে না। আবার এই হাড়ের যত্নের ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষই হয় খুব উদাসীন। যারফলে দেখা দেয় ক্যালসিয়াম অভাবজনিত রোগব্যাধি।
অতিরিক্ত লবণ, সফট ড্রিংকস, অতিরিক্ত চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস হাড়ের খুব ক্ষতি করে। এমনই আরও অনেক বিষয় হয়তো আমরা জানি না, যেগুলো আমাদের অজান্তেই হাড়ের ক্ষতি করে চলেছে। তবে কীভাবে এই ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে হাড় বাঁচানো যায়, তা তো জেনে নেওয়া যেতেই পারে। অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো নিয়মিত খেতে পারলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মিটিয়ে হাড় মজবুত করবে।
১. মজবুত হাড় পেতে নিয়মিত ব্রোকলি খেয়ে যেতে পারেন। ক্যালসিয়ামে ভরপুর এই সবজিটি শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।
২. টক জাতীয় ফল হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কমলালেবু, বাতাবি লেবু, পাতিলেবুর মতো যে কোন লেবুতেই থাকে ভিটামিন সি আর সাইট্রিক অ্যাসিড যা শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।
৩. শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে নিয়মিত ঢেঁড়স খেয়ে দেখুন। ৫০ গ্রাম ঢেঁড়সে প্রায় ১৭২ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।
৪. কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। এক মুঠো (১০০ গ্রাম) কাঠবাদামে প্রায় ২৬৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে। তাই শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দ্রুত পূরণ করতে প্রতিদিন খেতে পারেন এক মুঠো কাঠবাদাম।
৫. শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে তিলেরবীজ খুবই উপকারী। কারণ তিলের বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। ১০০ গ্রাম কাঁচা তিলের বীজে ১ হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে।
যাদের ক্যালসিয়ামের সমস্যা রয়েছে তারা এই খাবারগুলো খেয়ে সহজেই উপকৃত হতে পারবেন। ঔষধের পরিবর্তে নিয়মিত এগুলো খেয়েই ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করা সম্ভব।