সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, দোয়রাবাজারসহ ১১টি উপজেলার নদীর তীর এলাকা এখন বিভিন্ন ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। নদীর তীরে বাসা-বাড়ির ময়লা-আবর্জনা ছুঁড়ে ফেলা, বাসা-বাড়ির বাথরুমের পানি ও রাস্তার ড্রেনেজ লাইনের ময়লা নির্গত হওয়ায় পানি দূষিত হচ্ছে।এসব ময়লার স্তুপ থেকে দুর্গন্ধ পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এবং নদীর জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে।
এছাড়া জেলার পৌর শহর সুরমা নদীর উত্তর আরপিননগর নদীর তীর এলাকা, পশ্চিমবাজার, সাহেববাড়ি সেলুঘাট, মধ্যবাজার, চাঁদনীঘাট, জগন্নাথবাড়ি নদীর তীর, প্রধান মাছ বাজার এলাকা, সুরমা হকার্স মার্কেট সংলগ্ন নদীর তীর এলাকা, জেলরোড ফেরিঘাট এলাকা উকিলপাড়া এলাকা,, লঞ্চঘাট এলাকা, ষোলঘর নদীর তীর এলাকায় ময়লা-আবর্জনা ফেলে নোংরা পরিবেশ তৈরি করে রাখতে দেখা গেছে।
নদীর তীরে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় পরিবেশ নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ; দাবি করছেন পরিবেশবাদী সংগঠন। তাই নদীর তীর রক্ষায় ও পরিবেশ সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
আরপিন নগর এলাকার রাকিবুল ইসলামজানান, শহরের বিভিন্ন স্থানে ডাস্টবিন স্থাপন করা আছে এবং শহর পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য অতিরিক্ত ক্লিনার আছে।পৌরসভার গাড়ি এসে বাসা-বাড়ি থেকে ময়লা-আবর্জনা নিয়ে আসে। এরপরও এক শ্রেণীর মানুষ নদীর তীরে ময়লা-আবর্জনা ফেলে দেয়। এতে পরিবেশ নষ্ট হয়।প্রতিনিয়ত নদীর পানি আমাদের ব্যবহার করতে হয় । নদীর পানি কেউ ব্যবহার করতে পারেন না। পঁচা দুর্গন্ধ বের হয়। তাই নদীর তীরের ময়লা-আবর্জনা অপসারণ জরুরি প্রয়োজন।
সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের এ বিষয়ে বলেন, নদীর তীরে বেশ কিছু জায়গায় ময়লার স্তুপ দেখা যায়। যারা ময়লা ফেলেন তাদের সচেতন হওয়া উচিত। কেননা এই নদীর পানিতে অনেকে গোসল করেন।আবার অনেখে সাংসারিক কাজকর্মেও ব্যবহার করেন।এই জন্য নদীর তীর রক্ষায় এবং পরিবেশ সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।
পৌর কাউন্সিলর চঞ্চল কুমার লোহ জানান, নদীর তীরের পরিবেশ সুরক্ষায় মানুষকে আরো সচেতন হতে হবে। আমরা বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থাপনাকে আরো জোরদার করব। যাতে করে নদী ও পরিবেশ নষ্ট না হয়।