বুধবার থেকে উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে মৃদু শৈত্য প্রবাহ শুরু হলে এর প্রভাব পড়ে সারাদেশে। তবে রবিবার থেকে সারাদেশে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। শীতের দাপটও কমতে থাকে।তবে চলতি মাসের শেষের দিকে বৃষ্টি হতে পারে।তখন তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে।আর এরপর পরই শুরু হবে মৃদু শৈত্য প্রবাহ।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও ঠাণ্ডার অনুভূতি বেশি হচ্ছে। দিনে-রাতে তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকায় বেশি শীত লাগছে। দিনের বেলায় তাই স্বাভাবিক নাগরিক জীবনেও প্রভাব পড়ছে। এ মাসের শেষের দিকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বৃষ্টিতে কুয়াশা কেটে যাবে। তারপর মৃদু বা মাঝারি শৈত্য প্রবাহ শুরু হতে পারে।
আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীতে সূর্য দেখা দিলেও হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স বলেছে, বর্তমানে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা অনেকাংশে কমে আসছে। এর কারণে সামনের পথচারী ও বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় না।
এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাওসার পারভিন বলেন, সোমবার সূর্যের দেখা মিললেও কিছু এলাকায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। দেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় সীতাকুণ্ডে সর্বনিম্ন ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় ঢাকায় ছিল ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এছাড়া ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর সারাদেশে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে এবং হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তখন আবারো দেশের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। অবশ্য রংপুর অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।