মানিকগঞ্জের ছয় উপজেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। যমুনা, কালীগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বাড়ছে প্রতিদিন। এতে বিভিন্ন এলাকা নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দি হচ্ছেন অনেক মানুষ, তলিয়ে যাচ্ছে ফসল ও বসতভিটা।
গতকাল মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ধলেশ্বরী নদীর জাগীর পয়েন্টের গেজ রিডার মো. বদর উদ্দিন জানিয়েছেন, এ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কালীগঙ্গা নদীর তরা পয়েন্টের গেজ রিডার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, তরা পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গতকালের গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৭ সেন্টিমিটার।
যমুনা নদীর আরিচা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন এ পয়েন্টের গেজ রিডার মো. ফারুক আহম্মেদ। এ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এ তিনটি নদীতে পানি বাড়ায় মানিকগঞ্জ সদর, হরিরামপুর, দৌলতপুর, শিবালয়, ঘিওর, সাটুরিয়া উপজেলায় বিভিন্ন এলাকার ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের পাঁছ বারইল গ্রামের কৃষক মো. আলী বলেন, ‘কালীগঙ্গার পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার ২৪ শতাংশ জমির ভুট্টা খেত তলিয়ে গেছে। এছাড়া, পেঁপে বাগান ও সবজির খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাহজাহান আলী বিশ্বাস জানিয়েছেন, জেলায় প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্ষতি নিরুপণের কাজ চলছে। এসব এলাকার চাষিদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।