মোঃ রাজিবুল ইসলাম : বাংলাদেশ কৃষি নির্ভর দেশ। পূর্বের তুলনায় ফসল উৎপাদনেও এসেছে গতি। বৃদ্ধি পেয়েছে ফসল উৎপাদন। কৃষি ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করায় ফসলের উৎপাদনের বৃদ্ধি ঠিকই পেয়েছে কিন্তু মাটির গুণাগুণ রক্ষায় সরকার বিভিন্ন ধরনের ভূমিকা রাখছে। সমস্যার কথা হচ্ছে আমরা আমাদের মাটির গুণাগুণি নিজেরা নষ্ট করছি। কৃষি ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করছি। ফলে মাটির স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ফসলের ক্ষেতে নানান ধরনের কীটনাশক ব্যবহারের কারণে মাটির অনেক ক্ষতি হচ্ছে। অনেক ধরনের পোঁকা মারা যাচ্ছে। অন্যদিকে রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে মাটির জৈব উপাদান নষ্ট হচ্ছে যার কারণে মাটি ও ফসলের প্রয়োজনীয় শক্তি বোরনের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। মাটি ও ফসলের পাশাপাশি রাসায়নিক আমাদের পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব বিস্তার করছে যা আমাদের জন্য খুবই ভয়ানক।
দেশের প্রায় ৪৭ ভাগ জমিতে রয়েছে মাটি ও ফসলের প্রয়োজনীয় শক্তি উপাদান বোরনের ঘাটতি। এতে বিভিন্ন ফসলের ফলন ও গুণগতমান কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন মৃত্তিকা বিজ্ঞানীরা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নির্মল চন্দ্রশীল ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রওশন আরা বেগম জানান, দেশের ৩০টি কৃষি পরিবেশ অঞ্চলের মধ্যে ১৯টি অঞ্চলে কম-বেশি বোরনের ঘাটতি আছে। :- সংগৃহীত
বিশেষ করে দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, কুমিল্লা ও সিলেট জেলায় বোরনের ঘাটতি প্রকট। রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চল, গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও ঢাকার কিছু অংশ, পাবর্ত্য চট্টগ্রাম, চট্টগাম, কক্সবাজার, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার পাহাড়ি এলাকা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলার কিছু এলাকায় বোরন ঘাটতি দেখা যায়। রবিশস্যের মধ্যে গম, ভুট্টা, সরিষা, মুগডাল, ছোলা, সূর্যমুখী, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো ও আলু বোরন সংবেদনশীল। এছাড়া পেঁপে, কাঁঠাল, পেয়ারা লেবু প্রভৃতি ফলজ বৃক্ষেও বোরন ঘাটতি দেখা গেছে।