30 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
ভোর ৫:১৭ | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
মহাকাশে পা রাখা ইউরোপের প্রথম নারী মহাকাশচারী
আন্তর্জাতিক পরিবেশ পরিবেশ বিজ্ঞান

মহাকাশে পা রাখা ইউরোপের প্রথম নারী মহাকাশচারী

মহাকাশে পা রাখা ইউরোপের প্রথম নারী মহাকাশচারী

বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেছেন ড. ইনসা টিলে-আইশ৷ পেশায় আবহাওয়াবিদ এই জার্মান নারী গত কয়েক বছর ধরে মহাকাশে যাওয়ার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন৷ চূড়ান্ত বাছাইয়ে টিকে গেলে তিনিই হবেন মহাকাশে পা রাখা ইউরোপের দেশটির প্রথম নারী মহাকাশচারী৷

চলছে কঠোর প্রশিক্ষণ, লক্ষ্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র বা আইএসএস৷ জার্মানির দুই নারীকে প্রস্তুত করা হচ্ছে মহাকাশে পাঠানোর জন্য৷ তাদের একজন ড. ইনসা টিলে-আইশ৷ গত কয়েক বছর ধরে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক নানা ধরনের প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তারা৷



ইনসার সঙ্গে প্রশিক্ষণ নেয়া অন্য নারী ড. সুসানা রানডাল৷ তিনি একজন জ্যোতির্পদার্থবিদ৷

“আইএসএস-এ আমাদের দুই সপ্তাহের সায়েন্টিফিক মিশনে মানবদেহ, বিশেষ করে নারীদেহের উপর ওজনশূণ্যতার প্রভাব নিয়ে গবেষণা করা হবে৷ এটা মঙ্গলযাত্রার মতো দীর্ঘ মিশনের প্রস্তুতির জন্য জরুরি৷ মহাকাশে নারীদেহ কেমন আচরণ করবে তা নিয়ে পর্যাপ্ত তথ্য এখনো আমরা পাইনি,” বলেন ইনসা৷

ইনসা ইতোমধ্যে প্যারাবোলিক ফ্লাইট সম্পন্ন করেছেন৷ পাইলট হিসেবে লাইন্সেসও করা হয়ে গেছে তার৷ পাশাপাশি গুহার মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে থেকেছেন, পানির নীচেও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন৷

মহাকাশে যাওয়ার জন্য এসব প্রশিক্ষণ, যাত্রা এবং সেখানে অবস্থান – সবই বেশ ব্যয়বহুল ব্যাপার৷ তাই মহাকাশে মানুষ পাঠানোর আদৌ কোনো দরকার আছে কিনা তা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক৷

তার ভাষায়, “অবশ্যই বলতে পারেন যে মহাকাশে মানুষ পাঠানো অনেক ব্যয়বহুল৷ বরং এই টাকা পৃথিবীর অন্য সমস্যা সমাধানে ব্যয় করা উচিত৷ আসলে এই প্রশ্নের সহজ উত্তর নেই৷

কথা হচ্ছে, মহাকাশ গবেষণার টাকা অন্য কাজে খরচ হবে না৷ পৃথিবীর সব মানুষকে ক্ষুধামুক্ত রাখার এবং বিশুদ্ধ পানি দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা এবং সম্পদ আমাদের এমনিতেই রয়েছে৷ কিন্তু রাজনৈতিক বা অন্য কোনো কারণে আমরা সেটা পারছি না “



ইনসা টিলে-আইশ বাংলাদেশের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে পিএইডি করেছেন৷ বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে সমুদ্রের পানি বাড়তে থাকায় দেশটির অনেক এলাকা পানির নীচে তলিয়ে যাচ্ছে৷ পাশাপাশি নদীর পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদী ভাঙ্গন, ঝড় এবং জলোচ্ছ্বাস বেড়ে যাওয়ায় অনেক মানুষ বিপদে পড়েছেন, যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের পেছনে তাদের হাত নেই৷

ইনসা বলেন, “আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের এখনকার অনেক সমস্যা আরো বাড়িয়ে দেবে৷ যেমন অনেক মানুষ এখনই বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে না৷ জলবায়ু পরিবর্তন এই সমস্যা আরো বাড়াবে, বিশেষ করে সে সব অঞ্চলে, যেখানে নদীর উপর বিভিন্ন দেশের হিস্যা রয়েছে৷”

বিশ্বব্যাংকের হিসাব জানাচ্ছে, বাংলাদেশে প্রতিদিন দুই হাজারের মতো মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে যাচ্ছেন৷ তাদের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ জলবায়ু উদ্বাস্তু৷

তবে, এখনো অনেকে চেষ্টা করছেন পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে৷ ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধিসহ ব্যক্তি পর্যায়েও নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে৷

ইনসা মনে করেন, আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত বাংলাদেশকে সহায়তা করা৷ “বাংলাদেশের মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কী করছেন তা নিয়েও আমরা গবেষণা করেছি৷ আমরা দেখেছি অনেক মানুষের সামাজিক পুঁজি রয়েছে৷



অর্থাৎ তাদের সামাজিক বন্ধন মজবুত এবং তারা একে অপরের সহায়তায় এগিয়ে আসেন৷ এটা অত্যন্ত ইতিবাচক ব্যাপার৷ আর্থিক মূলধন আরেকটি বিষয়৷ এক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তা নেয়া উচিত,” বলেন তিনি৷

ইনসা বা সুসানার মধ্য থেকে যে কোনো একজন মহাকাশযাত্রার জন্য চূড়ান্তভাবে বিবেচিত হবেন৷ সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর মহাকাশে পাড়ি জমাবেন প্রথম কোনো জার্মান নারী৷ তবে ইনসা জানিয়েছেন, এই যাত্রা প্রায়ই নানা কারণে পেছানো হয়৷ তাই একেবারে সঠিক সময় বলা কঠিন৷

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত