যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা-নাসার রোভার “কিউরিওসিটি”র পাঠানো তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে লেখা একটি গবেষণাপত্র আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল “জিওফিজিক্যাল রিসার্চ: প্ল্যানেটস”এর সাম্প্রতিক সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলে পাওয়া যে অক্সিজেন পাওয়া গেছে তা রীতিমতো রহস্যময়। এটি পৃথিবীর মতো স্থির নয়, বরং পরিমাণে কমে-বাড়ে।
তারা আরও বলেন, মঙ্গলের খুব পাতলা হয়ে আসা বায়ুমণ্ডলে অন্য গ্যাসের সঙ্গে এখনো রয়েছে অক্সিজেন অণু। অণুটি দুটি অক্সিজেন পরমাণু দিয়ে গড়া, ঠিক পৃথিবীর মতোই। আর তার পরিমাণটাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়, শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ।
জানা যায়, মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের সেই অক্সিজেনের পরিমাণটা কোনো ঋতুতে বাড়ে, আবার কোনো ঋতুতে কমে। পৃথিবীতে এমন ঘটনা কখনো ঘটে না।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাইমেট অ্যান্ড স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ও সহযোগী গবেষক সুশীল আত্রেয় জানান, মঙ্গলে যখন বসন্ত আসে, তখন বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ এক লাফে প্রায় তিন গুণ বেড়ে যায়। তার পর বছর যত এগোয়, ততই তা ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে।এটা কেন হয়, এখনও আমরা তা বুঝে উঠতে পারিনি।”