বোমা মেশিনের ব্যবহারে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ
বরগুনায় অবৈধ ড্রেজার (বোমা পাওয়ার পাম্প) মেশিন বসিয়ে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনের মহোৎসব শুরু হয়েছে। গ্রামের নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় টাস্কফোর্সের অভিযানে অসংখ্য বোমা মেশিন জব্দ করা হলেও করা হয়নি মামলা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার পরে মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে ২ নম্বর গৌরিচন্না ইউনিয়নের আমতলী খাল থেকে মেশিনটি উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মানিক চন্দ্র রায়ের জিম্মায় রাখে পুলিশ।
অভিযানের দায়িত্বে থাকা সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাসুম মেশিনটি জব্দের কথা শিকার করে বলেন, মেশিনটি চাইলে মালিক নিয়ে নিতে পারেন। তবে আমরা এ মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে দেবো না।
জিম্মায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য মানিক চন্দ্র রায় বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অবৈধ ড্রেজার মেশিন আমার জিম্মায় রাখা হয়েছে। আমি মেশিনটি মাসুদ নামে এক স্থানীয় ব্যক্তির জিম্মায় রেখেছি।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০২১-২২ অর্থবছরে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) দ্বিতীয় পর্যায়ের দুটি প্যাকেজ অনুমোদন পায় বরগুনা সদর উপজেলা।
হেরিং বোন বন্ড এইচবিবির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সোহাবাহানের বাড়ি থেকে আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে কবির মাস্টারের বাড়ির মসজিদ পর্যন্ত ৩৩৫ মিটার রাস্তা পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কনস্ট্রাকশন।
পরে এখানে ঠিকাদার নয়ন অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী খাল থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে ওই রাস্তায় দিচ্ছেন। বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে এলে তারা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ দেয়। পরে বরগুনা থানা থেকে এএসআই মাসুম গিয়ে অবৈধ ড্রেজার মেশিনটি জব্দ করেন।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মদ বলেন, ৯৯৯ সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করেছি। বোমা মেশিনটি স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে। তবে, এ ব্যাপারে কারো কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পাইনি।