বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব মোকাবিলায় জাতীয় পরিকল্পনা প্রকাশ নিউজিল্যান্ডের
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রথম জাতীয় পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে নিউজিল্যান্ড। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব মোকাবিলার জন্য রবিবার (৭ আগস্ট) পরিকল্পনা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডার্নের সরকার।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বড় হুমকির মুখে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ নিউজিল্যান্ড। ২০২১ সালটি নিউজিল্যান্ডের উষ্ণতম বছরের রেকর্ড গড়েছে।
আর্ডার্নের সরকার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আরও তীব্র ঝড় ও বন্যা দেখা দেওয়ায় বসবাসের কিছু জায়গা পরিত্যক্ত করতে হতে পারে।
নিউজিল্যান্ডের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী জেমস বলেন, ‘আবহাওয়ার এমন ভয়াবহ ঘটনা যা আগে অকল্পনীয় বলে মনে হতো, তা এখন এমন গতিতে এবং তীব্রতায় ঘটছে যা আমরা আগে কখনও অনুভব করিনি।’
নিউজিল্যান্ডকে পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে রবিবার (৭ আগস্ট) তিনি প্রথম দীর্ঘমেয়াদী কৌশল ঘোষণা করেন।
এতে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে উপকূলের কাছাকাছি কিছু বাড়ি শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত হতে পারে। ২০০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনের একটি দূরদর্শী নীতি হলো প্রতিকূল ঘটনা ঘটার আগেই তার জন্য প্রস্তুত হওয়া, পরে নয়।
পরিকল্পনার আওতায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাড়ি-ঘর তৈরির অনুমতি দেয়া হবে না। এদিন ওয়েলিংটনে সাংবাদিকদের জেমস বলেন, নিউজিল্যান্ডকে আরো উষ্ণ ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রায় ৫০ লাখ মানুষের জনগোষ্ঠী গত এক বছরে ভয়াবহ বন্যা, খরা ও ঝড়ের কবলে পড়েছে।
জাতীয় জলবায়ু কৌশলটি অভিযোজন পরিকল্পনার একটি সিরিজে প্রতি ছয় বছর অন্তর নতুন করে প্রস্তুত করা হবে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার খরচ সম্পত্তির মালিক, নিউজিল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সরকার, বিমা সংস্থা এবং ব্যাংকগুলির মধ্যে ভাগ করে নেয়া হবে।