সম্প্রতি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রধান প্রধান শহরের বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে উঠেছে। লকডাউন উঠে যাওয়ায় ফের বায়ুতে বাড়ছে ক্ষতিকর উপাদান। এই সময়ে বৃদ্ধ, শিশু, ম্বাসকষ্টে ভোগা ব্যক্তিসহ সুস্থ- অসুস্থ সবাইকে বিশেষ কারণ ব্যতীত বাড়ির বাইরে না যেতে পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার।
প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে যে, আজ রবিবার (১৫ নভেম্বর, ২০২০) থেকে টানা ৬দিন বাংলাদেশের বায়ুর মান আরও খারাপ থাকতে পারে। বিশেষ করে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে বায়ুদূষণের গড় হার বেড়ে ১৫১ থেকে ২০০ পিএম ২.৫ হতে পারে, যাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির দূষণ বলা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সকলকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছে এবং বাহিরে গেলে মাস্ক পরিধান করতেও বলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
কেননা, এই মাত্রার বায়ু দূষণে যে কেউ অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন, বিশেষ করে যারা অসুস্থ এবং শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগে ভুগছেন।
আজ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের দূষণের চিত্রে দেখানো হয়েছে- একই সময়ে ঢাকায় বায়ুর মান ১১৬ পিএম ২.৫, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বায়ুর মান ১৩১ পিএম ২.৫, গুলশানের বে’স এডজওয়াটারে ১২০, ঢাকার ইউএস অ্যাম্বাসিতে ১১৭, বিটোপিতে ১১১, ওহাব বারিধারায় ১১১ ও বিটোপি গ্রুপে ৫৫ থাকতে পারে, সাভারে ১১২, ত্রিশালে ১০২, মানিকগঞ্জে ৮৩, শ্রীপুরে ৮১, কুমিল্লায় ৭২ ও নারায়ণগঞ্জে ৪ থাকতে পারে।
সাধারনত, বাতাসের একিউআই মাত্রা শূন্য থেকে ৫০ পিপিএম হলে তাকে ‘সবুজ বা স্বাস্থ্যকর’, একিউআই মাত্রা ৫১ থেকে ১০০ পিপিএম হলে তাকে ‘মধ্যম’ বায়ু, যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়। মাত্রা ১০১ থেকে ১৫০ পিপিএম হলে তাকে ‘সর্তকতামূলক’ বায়ু, যা মানুষের জন্য মৃদু ক্ষতিকর। একিউআই মাত্রা ১৫১ থেকে ২০০ পিপিএম হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু, ২০১ থেকে ৩০০ পিপিএম একিউআই মাত্রার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৫০০ পিপিএম মাত্রার বাতাস ‘চরম পর্যায়ের অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলা হয় বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।