বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে আলাদা আইন করতে হবে
বায়ুদূষণে প্রায়ই শীর্ষ স্থানে নাম উঠে আসে বাংলাদেশের। বিশেষ করে ঢাকা সহ আরও কিছু শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা ভয়ানক পর্যায়ে থাকছে। এমতাবস্থায় বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আলাদা আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন ন্যাচার লাভিং পিপল (এনএলপি)।
রবিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব এবং পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি পাঠায় সংগঠনটি। এনএলপির পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি এহসানুল হক জসীম ডাকযোগে এ চিঠি পাঠান।
চিঠিতে দাবি বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু আইনের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছিল, তা অবিলম্বে আইনে পরিণত করা হোক। এখন বিধিমালা প্রণয়ন থেকে সরে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি আমরা।
এতে আরো বলা হয়, দেশে বায়ুদূষণ যে মাত্রায় পৌঁছেছে, তাতে বিধিমালা দিয়ে কাজ হবে না। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন প্রণয়ন করে নানা উদ্যোগ নিতে হবে।
আর যদি বিধিমালা করতেই হয়, সেটা নির্মল বায়ু আইন প্রণয়নের পর করা যাবে। এই আইনের অধীনে বিধিমালা করা যেতে পারে। আগে স্বতন্ত্র আইন প্রণয়নের দাবি জানায় এনএলপি।
২০১৯ সালে ‘নির্মল বায়ু আইন’ এর খসড়া প্রণীত হওয়ার কথা জানিয়ে বলা হয়, খসড়া প্রণয়নের পর তিন বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও ‘নির্মল বায়ু বিল- ২০১৯’ আলোর মুখ না দেখায় অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করছিলেন। সেই উদ্বেগের মধ্যে জানা গেলো এখন আর আইন প্রণয়ন হচ্ছে না। আইন না করে বিধিমালা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাসিন্দাদের ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ কোনও না কোনোভাবে বায়ুদূষণের শিকার হচ্ছে। এসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মানুষ দূষণ এলাকায় বাস করে। বায়ুদূষণে প্রতিবছর বাংলাদেশে মারা যায় ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষ।