বায়ুদূষণের ফলে বছরে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষের অকালমৃত্যু
বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি বায়ুদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম পরিবেশগত হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম পরিবেশগত হুমকি বায়ুদূষণ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে, প্রতিবছর শুধু বায়ুদূষণে বিশ্বে ৭০ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু হয়। এ সমস্যার সমাধানে বিশ্বজুড়ে বায়ুর মান উন্নত করতে এয়ার কোয়ালিটি গাইডলাইনস (একিউজিএস) আরও জোরদার করেছে সংস্থাটি।
নতুন একিউজিএস প্রকাশ করে মঙ্গলবার বৈশ্বিক সংস্থাটি বলেছে, তীব্র বায়ুদূষণ প্রতিরোধ করতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা বিশ্বজুড়ে বায়ুর মানের প্রতিটি সূচক নিম্নমুখী রয়েছে। এটা জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। অস্বাস্থ্যকর খাবার ও ধূমপানের চেয়েও বেশি স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি করেছে।
বায়ুর মানের নতুন গাইডলাইন বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে লাখো মানুষকে সুরক্ষা দেবে বলে মনে করছে ডব্লিউএইচও। একই সঙ্গে এটি সরকারগুলোকে বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে লড়তে মানবিষয়ক আইনগত সীমা নির্ধারণে সহায়ক হবে। স্বাস্থ্যঝুঁকি কমিয়ে আনবে। লাখো মানুষের জীবন রক্ষা করবে।
সর্বশেষ ২০০৫ সালে একিউজিএস প্রকাশ করেছিল ডব্লিউএইচও। সংস্থাটি বলছে, ২০০৫ সালের পর থেকে ১৬ বছর ধরে সংগ্রহ করা তথ্য–উপাত্ত এটাই বলছে যে বায়ুদূষণ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এটা কোনো নির্দিষ্ট দেশ কিংবা অঞ্চলভেদে নয়, বরং বিশ্বজুড়ে।
নতুন একিউজিএসে নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইড, সালফার ডাই–অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইডসহ ছয় ধরনের দূষণ থেকে বায়ুমান উন্নত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
সংস্থাটির মতে, বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি বায়ুদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম পরিবেশগত হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘বায়ুদূষণ সব দেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। তবে এটি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় চরম ঝুঁকি তৈরি করেছে।’