38 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
বিকাল ৫:০২ | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
বর্জ্যের ভাগাড়ায় ভরপুর সেন্ট মার্টিন
পরিবেশ দূষণ

বর্জ্যের ভাগাড়ায় ভরপুর সেন্ট মার্টিন

বর্জ্যের ভাগাড়ায় ভরপুর সেন্ট মার্টিন

সেন্ট মার্টিন নিঃসন্দেহে এ দেশের পর্যটন খাতের সবচেয়ে আকর্ষণীয় কেন্দ্র। মৌসুম ছাড়াও যেকোনো উৎসব উপলক্ষে ছুটির দিনগুলোতে ঢল নামে পর্যটকদের। সেটিই যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সেন্ট মার্টিনের জন্য। রীতিমতো ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে এ দ্বীপ।

পর্যটকদের অসচেতনতা ও কর্তৃপক্ষের দায়সারা মনোভাবের কারণে অনেকটা হুমকির মুখে পর্যটনকেন্দ্রটি। এ নিয়ে আমরা বারবার প্রতিবেদন ও সম্পাদকীয় করে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো ও স্থানীয় প্রশাসন কোনো কর্ণপাতই করছে না।



প্রায় দেড় মাস আগে দ্বীপে পর্যটক আগমনের মূল মৌসুম শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনো দ্বীপজুড়ে পড়ে আছে বিভিন্ন ধরনের ময়লা-আবর্জনা। পরিবেশের ক্ষতি ও সৌন্দর্যহানির পাশাপাশি এসব বর্জ্যের দুর্গন্ধে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের।

সৈকতের প্রায় দেড়-দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কাচের বা প্লাস্টিকের বোতল, প্যাকেট, ওয়ান টাইম পণ্য, পলিথিন, ক্যান, নাইলনের দড়িসহ বিভিন্ন অপচনশীল বর্জ্য। এ ছাড়া যোগ হয়েছে শতাধিক হোটেল-রেস্তোরাঁ ও গৃহস্থালির বর্জ্যও।

হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোর বর্জ্য যাচ্ছে সরাসরি সাগরে। বর্জ্য-ব্যবস্থাপনার টেকসই কোনো উদ্যোগ না থাকায় বছরের পর বছর এমনটি ঘটছে। এতে দ্বীপটি প্রবালশূন্য হয়ে পড়ছে, হারাচ্ছে জীববৈচিত্র্যও।

দুই যুগে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকের আগমনসংখ্যা বছরে ২০০ থেকে কয়েক লাখে গিয়ে ঠেকেছে। একই সময়ে জনসংখ্যা ৩ হাজার থেকে হয়েছে প্রায় ১০ হাজার। এক দশক আগে ১৭টি হোটেল থাকলেও সে সংখ্যা এখন দেড় শতাধিক।

সেন্ট মার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যানের দাবি, পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দ্বীপে কিছু সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। তাঁরা পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বার্থে কিছুই করেন না। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলতে অধিদপ্তর থেকে প্রচারণা চালানো হলেও পর্যটকেরা পাত্তাই দেন না। বলতেই হবে যে আমাদের পর্যটক ও পর্যটন ব্যবস্থাপনা এখনো পর্যটনবান্ধব হতে পারেনি।



আমরা মনে করি, শুধু প্রচারণার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়মিত নজরদারি চালানোসহ প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি বর্জ্য গিয়ে সাগরে পড়া ঠেকাতে একটি ব্যবস্থাপনাও গড়ে তুলতে হবে।

তবে সেন্ট মার্টিনকে বাঁচাতে সেখানে পর্যটক আগমনের নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই। অনলাইন নিবন্ধনের মাধ্যমে এমন উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেটি কার্যকর হয়নি। সেখানকার নৌযান সমিতি ও ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলোর দৌরাত্ম্য ঠেকানো না গেলে তা কখনো সম্ভব নয়। আমরা মনে করি, এ নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে কার্যকর ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত