বন সংরক্ষণে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে : পরিবেশমন্ত্রী
করোনাভাইরাসের মতো মহামারি প্রতিরোধে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল বন সংরক্ষণ এবং বন্যপ্রাণী ধরা, মারা ও শিকার বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, নির্বিচারে বন ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংসের কারণে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর মধ্যে চলাফেরা ও বসবাসের দূরত্ব কমেছে। ফলে রেবিস, ইবোলা, নিপাভাইরাস, সোয়ান ফ্লু, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ও কোভিড-১৯ এর মতো অনেক রোগ মানুষ ও গৃহপালিত প্রাণীর মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির ২২তম জাতীয় সম্মেলন ও বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, প্রাণিবিজ্ঞানীদের গবেষণালব্ধ জ্ঞানের আলোকে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় নিবেদিতভাবে কাজ করছে। বনবিভাগের সহায়তা আইইডিসিআর কাঁচা খেজুর রসের মাধ্যমে রোগ ছড়ানো বিষয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করে আসছেন।
ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির কারণে এ রোগটির বিস্তার হ্রাস পেয়েছে। বন্যপ্রাণী শিকার, পাচার ও বাজারজাতকরণ রোধে বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সকলের সহযোগিতায় বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আমরা সফল হলে এধরনের রোগ হতে মুক্ত থাকতে পারব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যা