32 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
রাত ১:৪১ | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইছামতী নদীর দখলদার উচ্ছেদ ও খনন কাজ
পরিবেশ রক্ষা

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইছামতী নদীর দখলদার উচ্ছেদ ও খনন কাজ

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইছামতী নদীর দখলদার উচ্ছেদ ও খনন কাজ

উচ্ছেদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে সাতটি ও নিম্ন আদালতে পাঁচটি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় আদালত উচ্ছেদে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

২০১৯ সালে উচ্ছেদ ও খনন প্রকল্প শুরু হয়। মেয়াদ ছিল দুই বছর, বরাদ্দ ছিল ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা। দীর্ঘ সময়ে উচ্ছেদে অগ্রগতি ৫ শতাংশ, খননে ১৮ শতাংশ। বরাদ্দের ব্যয় হয়েছে মাত্র ১২ শতাংশ টাকা। এর মধ্যে উচ্ছেদে ব্যয় ৩ শতাংশ ও খননে ৯ শতাংশ।



পাবনা শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া ইছামতী নদীর দখলদার উচ্ছেদ ও খনন প্রকল্পের চিত্র এটি। ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ফলে ফেরত যাচ্ছে প্রকল্প বরাদ্দের ৮৮ শতাংশ টাকা।

এর মধ্যে উচ্ছেদ বরাদ্দের ৯৭ শতাংশ এবং খনন বরাদ্দের ৯১ শতাংশ টাকা রয়েছে। ফলে আবারও অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে ইছামতী নদীর দখলদার উচ্ছেদ ও খনন কার্যক্রম।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) পাবনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘উচ্ছেদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে সাতটি ও নিম্ন আদালতে পাঁচটি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় আদালত উচ্ছেদে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। ফলে উচ্ছেদ ও খনন কোনোটাই সম্ভব হচ্ছে না। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্বাধীনতার আগপর্যন্ত ইছামতী নদীতে পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক ছিল। ইছামতীকে কেন্দ্র করেই প্রসারিত হয়েছিল জেলার ব্যবসা-বাণিজ্য। এরপর দিনে দিনে নদীর দুপাড় দখল হতে থাকে।

উৎসমুখ আটকে বন্ধ হয়ে যায় পানিপ্রবাহ। নদীটি উদ্ধারের দাবি তোলেন জেলাবাসী। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৭ সালে জেলা প্রশাসন ইছামতীর উৎসমুখ সদর উপজেলার চর শিবরামপুর থেকে পৌর এলাকার শালগাড়িয়া শ্মশানঘাট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার এলাকায় ২৮৪ জন দখলদার চিহ্নিত করে। ২০১১ সালে দখলদার উচ্ছেদ অভিযানও চালানো হয়। কিন্তু খনন কাজ না হওয়ায় আবার দখল হতে থাকে নদীর দুপাড়।



পাউবো সূত্রে জানা যায়, জেলাবাসীর দাবি ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০১৯ সালে নদীর দখলদার উচ্ছেদের জন্য ২ কোটি ৭৯ লাখ ও খননের জন্য ৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। সে অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর নদীর উৎসমুখ থেকে লাইব্রেরি বাজার ব্রিজ পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে খনন কাজ শুরু হয়।

পুরো নদীর ৫ শতাংশ এলাকায় উচ্ছেদ ও ১৮ শতাংশ খনন কাজ হয়। উচ্ছেদ কাজে মোট বরাদ্দের ৩ শতাংশ ও খনন কাজে ৯ শতাংশ টাকা ব্যয় হয়। দ্বিতীয় দফায় ২০২০ সালের ৩০ মার্চ লাইব্রেরি বাজার ব্রিজ থেকে শালগাড়িয়া শ্মশানঘাট পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে বাধ সাধেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। মাত্র তিন দিনের মাথায় বন্ধ হয় উচ্ছেদ অভিযান।

পাউবো জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘সিএস নকশা অনুযায়ী, নদীর প্রশস্ততা ১০০ থেকে ১৮৫ ফুট পর্যন্ত রয়েছে। কিন্তু আরএস নকশায় এ প্রশস্ততা গড়ে ৫ থেকে ৪৫ ফুট পর্যন্ত কমে গেছে।

দীর্ঘ দিন এ জমি কেনাবেচা হয়েছে। ফলে অনেকেই তাঁদের দখল করা জমির বৈধ মালিকানা দাবি করছেন। এসব নিয়েই আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে। তবে সব জটিলতার অবসান ঘটিয়ে আমরা নদী খননের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত