বঙ্গোপসাগরে সন্ধান মিলেছে ৩টি প্রজাতির নতুন সি-উইডের। নতুন এই সি-উইড দেশীয় মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের সাথে সাথে ওষুধশিল্প, প্রসাধনী সামগ্রীসহ বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামালা হিসেবে কাজে লাগবে বলে জানা যাচ্ছে। উল্লেখিত ক্ষেত্র ছাড়াও সি-উইড গুলো বিদেশের রপ্তানির মাধ্যমে বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় হবে। আর এতে করে দেশের অর্থনীতি আরো মজবুদ হবে।
বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বিজ্ঞানী আবু সাঈদ মোহাম্মদ শরীফ জানিয়েছেন যে, সি-উইড নিয়ে কাজের প্রথমে প্রজাতি শনাক্তকরণে অনেক ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়েছিলো। পূর্বের তথ্য দিয়ে সি-উইড শনাক্ত করা ছিলো খুবই কঠিন কাজ। তিনি জানান এপর্যন্ত ৮৪টি সি-উইডের প্রজাতির শনাক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩টি নতুন সি-উইড। তিনি আরো জানান, চিহ্নিত সি-উইড গুলোর পানির নিচের ছবি ও পানির উপরের ছবি প্রকাশ করা হবে ক্যাটালগ আকারে।
বঙ্গোপসাগরে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮১৩ কি. মি. জলসীমায় অনেক সি-উইড থাকলেও আগের সময়ে সেগুলো অবহেলায় পড়ে ছিলো। যানা যায় বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে নতুন এক মাত্রা যোগ হয়েছে সি-উইড গবেষণায়। আর পরে সি-উইড নিয়ে গবেষণার করার জন্য তৈরি করা হয় সি-উইড রির্সাচ টিম ।
যে নতুন ৩টি প্রজারতির সি-উইড পাওয়া গেছে তা হলো- রোডাফাইটা, ক্লোরোফাইটা ও ফিওফাইটা গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত। নতুন এই সি-উইডের প্রচুর পরিমাণে আন্তর্জাতিক চাহিতা রয়েছে। যা রপ্তানি করে বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করা হবে। অন্যদিকে সি-উইড রির্সাচ টিমের টিহ্নিত ৮৪টি সি-উইডের মধ্যে অনন্ত ৫০টি প্রজাতির সি-উইড পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়।
আজ থেকে ৩শ বছর পূর্বেই চীন, জাপান, ফিলিফাইন, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বের বেশকিাছু দেশ মনোযোগ দেয় সমুদ্র অর্থনীতির উপরে। বর্তমানে বিশ্বের ৪৩০ কোটি মানুষের ১৫ – ১৬ শতাংশ প্রোটিনের জোগান আসছে সামুদ্রিক মাছ ও উদ্ভিদ থেকে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
মোঃ রাজিবুল ইসলাম/গ্রিণপেজ/ঢাকা