ফেনী জেলায় বাতাসে ক্ষতিকর পদার্থ পরিমাপের জন্য মাইক্রো মনিটরিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। এতে এ জেলার পরিবেশ দূষণের কারণ উদঘাটন করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।এর ধারাবাহিকতায় ফেনীর মহিপাল সার্কিট হাউজ সড়কের কার্যালয়ের ছাদে যন্ত্রটি স্থাপন করা হয়। এর দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফেনী পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ফাইজুল কবিরকে।
ফেনী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মেজবাউল আলম বলেন, এ যন্ত্রের মাধ্যমে ফেনী শহরের বায়ুতে বিদ্যমান বস্তুকণা, সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইডসহ ক্ষতিকর ছয়টি রাসায়নিক পদার্থের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে। সেই সঙ্গে আবহাওয়া সর্ম্পকিত বায়ুর আর্দ্রতা, বায়ু প্রবাহের গতি ও দিকসহ বিভিন্ন উপাত্ত সংগ্রহ করাও সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রাপ্ত উপাত্ত বৈজ্ঞানিক উপায়ে বিশ্লেষণ করে দৈনিক ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে। এটি পরিবশে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে নিয়মিত প্রকাশ করা হবে। ফলে বায়ুদূষণ সর্ম্পকে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে ক্যামস। যদি দূষণের মাত্রা বেশি পাওয়া যায়, তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিদের্শনা অনুযায়ী দূষণ কমানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, দেশের বড় শহরগুলোতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বায়ুদূষণ। এটি মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দেশে একদিকে বাড়ছে জনসংখ্যা, অন্যদিকে শহরগুলোতে অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বাড়ছে কারখানাসহ জনসাধারণের চলাচলের জন্য যানবাহনও। এ কারণে ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে বায়ুদূষণের মাত্রা।
দূষণ থেকে রক্ষা পেতে বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিবেশ অধিদপ্তর দেশের গুরুত্বপূর্ণ ১১টি স্থানে সার্বক্ষণিক বায়ুমান পরিবীক্ষণ কেন্দ্র (ক্যামস) স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্লিন এয়ার অ্যান্ড সাসটেনেবল এনভায়রনমেন্ট (কেস) শীর্ষক কার্যক্রম গ্রহণের আওতায় ক্যামস প্রকল্পে অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক।
মেজবাউল আলম বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতিসংঘের অন্য সংস্থাগুলো বায়ুদূষণ সম্পর্কে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিরসনের লক্ষ্যে এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্যামসের উপাত্ত ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়া বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও এ তথ্য ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
