কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দেখা মিলছে ঝাঁকে ঝাঁকে ডলফিন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনশূন্য করা হয়েছে দেশের পর্যটক কেন্দ্রগুলো। আর এই কারণে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকেও করা হয়েছে পর্যটক শূন্য। পর্যটক নিষিদ্ধ করার পরে সমুদ্র তীরে মানুষ না থাকায় ফিরতে শুরু করেছে সাগরের প্রাকৃতিক অবস্থা।
সৈকতরে কাছাকাছি ডলফিনের এমন বিচরণ গত দিন দশকে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। গত সোমবার (২৩ মার্চ ২০২০) থেকে এমন দৃশ্য দেখতে পাচ্ছে স্থানীয়রা।
সাগরের নীল পানিতে ভেসে ওঠা ডলফিনগুলো খেলা করতে থাকে তাদের আপন গতিতে। জনমানব শূন্য হওয়ার কারণে এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে দেশ বিদেশের অনেক সৈকতে।
প্রাণী আর জীববৈচিত্র্য মানুশের কারণে আজ কোন ঠাসা অবস্থায় আছে তার আর বলার প্রয়োজন নেই। কারণ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিসিদ্ধ ঘোষণার পরই দেখা যাচ্ছে এমন দৃশ্য।
অপরিকল্পিত পর্যটন কেন্দ্রের ফলে বেড়েছে অনেক দূষণ। ফলে প্রাকৃতিক দৃশ্য দিন দিন আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য।
পরিবেশবিদদের মতে সাগরে প্রাকৃতিক পরিবেশ ডলফিনের জন্য সহায়ক চিলো না। তাই এতো দিন এমনভাবে ডলফিনের দেখা মেলেনি। কিন্তু করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সৈকত পরিণত হয়েছে মানব শূন্যে আর তাই এখানকার পরিবেশ হয়েছে দূষণমুক্ত। যে কারণে ডলফিনের এমন বিরচন দেখা মিলছে।
পরিবেশবিদরা পরামর্শ দিয়েছে ডলফিনের বিরচণ বাড়াতে আগামীকে বছরের কোন এক সময় নির্দিষ্ট সময়ে কক্সবাজার সাগর সৈকত পর্যটকমুক্ত রাখার।