প্রজাপতি সংরক্ষণ ও গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রজাপতি মেলা
‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ স্লোগানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে দিনব্যাপী প্রজাপতি মেলা।
প্রজাপতি সংরক্ষণ ও গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখা এ মেলার আয়োজন করেছে। প্রজাপতিকে কেন্দ্র করে নানা আয়োজন দেখতে ক্যাম্পাসে ভিড় করছেন প্রজাপতিপ্রেমীরা।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য শেখ মো. মনজুরুল হক।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও প্রজাপতি মেলার আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার প্রমুখ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মনজুরুল হক বলেন, ‘প্রজাপতির এই মেলা মূলত ভালোবাসার একটি অনুষ্ঠান। প্রকৃতিকে ভালোবাসার এই অনুষ্ঠান অনেক দিন ধরে চলছে।
আমরা প্রকৃতিকে ভালোবাসি, প্রকৃতির একটি ছোট অংশ প্রজাপতিকে ভালোবাসি। প্রজাপতি প্রকৃতিকে সুন্দর করে সাজানোর পাশাপাশি পরাগায়নের মাধ্যমে গাছে ফল উৎপাদনে সহযোগিতা করে।’
এ সময় প্রকৃতি সংরক্ষণে সার্বিক অবদানের জন্য প্রকৃতি ও পরিবেশবিষয়ক সংগঠন তরুপল্লবকে বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী দীপ্ত বিশ্বাসকে বাটারফ্লাই ইয়াং ইনথুসিয়াস্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
পরে বেলা সাড়ে ১১টায় একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে শুরু হয়ে শহীদ মিনার ঘুরে আবার মিলনায়তনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। বেলা সাড়ে ১২টায় মিলনায়তনের করিডরে শিশু-কিশোরদের প্রজাপতিবিষয়ক চিত্রাংকন ও স্থিরচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
মেলায় প্রজাপতির গল্পে পাপেট শো প্রদর্শিত হবে। এ ছাড়া প্রজাপতির লার্ভা ও প্রজাপতিনির্ভর গাছপালার তথ্যচিত্র নিয়ে একটি পাম্পলেট প্রকাশিত হবে।
দিনব্যাপী অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে আছে প্রজাপতিবিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী, জীবন্ত প্রজাপতি প্রদর্শন, প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতা, বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতিবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী।
এদিকে মেলা উপলক্ষে ক্যাম্পাসে প্রজাপতিপ্রেমীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রজাপতিপ্রেমীরা ক্যাম্পাসে ছুটে এসেছেন প্রজাপতি মেলা দেখতে। বিশেষ করে বাহারি রঙের প্রজাপতি দেখে শিশুদের উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতো।
সাভারের অরুণাপল্লি থেকে বাবার সঙ্গে প্রজাপতি মেলা দেখতে এসেছে শারান আয। ছোট্ট শিশু শারান আয বলেন, ক্যাম্পাসে এসে প্রজাপতি দেখে ভালো লাগছে। এখানে লাল, নীল, কালোসহ কয়েক ধরনের প্রজাপতি দেখেছে। বাবার সঙ্গে আগেও কয়েকবার মেলায় এসেছে সে।