বিশ্ব ব্যাপী করোনা মহামরাীতে বিশ্বে আ নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে। বিশ্ব লক ডাউন থাকায় অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বিশ্ব এখন অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছে। অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো আজ চরম পর্যায়ে ভোগান্তির মুখে। কিন্তু সকল বিষয় উপপেক্ষা করে একটা চরম সত্য হচ্ছে করোনার ইতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। আর সেই ইতিবাচক প্রভাব হচ্ছে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে ওজন স্তর।
করোনাভাইরাস মহামারীতে বিশ্বের সকল মানুষ আজ গৃহবন্দী। বিশ্বের প্রায় ২ শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বিশ্বের যে সকল দেশের মাধ্যমে বেশি পরিমানে অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ হয় সে সকল দেশে এখন চলছে লকডাউন। সংক্রমণ এড়াতে সেই সকল দেশগুলো ( অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণকারী) তাদের কলকারখা বন্ধ রেখেছে। একই সাথে চলছে বন্ধ রয়েছে ভারী সব যানবাহনও। আর সেই কারণেই প্রকৃতিতে পড়েছে ইতিবাচক প্রভাব।
কোপারনিকাস অ্যাটমোস্ফিয়ার মনিটরিং সার্ভিস এবং কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস নিশ্চিত করেছে যে, বিশ্বে লকডাউনের ফলে কার্বন নিঃসরণ কমে আসায় ওজন স্তরে যে বিশাল ক্ষত বা গর্ত তৈরি হয়েছিল তা পৃথিবী নিজেই সারিয় তুলছে।
অনেকই জানি আবার অনেকেই জানি না। জেনে রাখার জন্য উল্লেখ করা হচ্ছে যে, বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকে থাকে ওজন স্তর, সেই ওজন স্তর সূর্য থেকে নির্গত ক্ষতিকর রশ্মিকে আমাদের সুন্দর এই পৃথিবীতে আসতে দিচ্ছে না। এই রশ্মিটি হচ্ছে মূলত আল্ট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন বা অতিবেগুনী তেজস্ক্রিয় রশ্মি। এই তেজস্ক্রিয় রশ্মি কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। এমনকি আমাদের শারীরের বিভিন্ন অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। যদি ওজন স্তর না থাকে তাহলে সূর্যের সেই অতিবেগুনী রশ্মি পৃথিবীতে এসে পৌঁছাবে যার ফলে মানুষ, প্রাণী ও উদ্ভিদের মারাত্মক ক্ষতি হবে।