পূর্বের শ্রেণীতে ফিরে যাচ্ছে জাহাজ ভাঙা শিল্প
পরিবেশ দূষণকারী জাহাজ ভাঙা শিল্পকে আবার সর্বোচ্চ দূষণকারী ‘লাল’ শ্রেণিতে ফিরিয়ে নিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
গত ১০ অক্টোবর পরিবেশ অধিদপ্তর (ডিওই) এক সভায় জাহাজ ভাঙা শিল্পের শ্রেণি কমলা (খ) তে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে গণমাধ্যমে খবর আসে।
লাল শ্রেণিভুক্ত শিল্পের ক্ষেত্রে পরিবেশগত নির্দেশনা মেনে চলার সর্বোচ্চ বাধ্যবাধকতা থাকে। শিল্প এলাকার মাটি, পানি, বাতাস ও মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর শিল্প স্থাপনের প্রভাব সম্পর্কিত বিস্তারিত বর্ণনা করে পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা (ইআইএ) করতে হয়। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৭ অনুযায়ী ‘কমলা’ শ্রেণিভুক্ত শিল্পের জন্য কোনো ইআইএ র দরকার হয় না।
ইআইএ করা হলে একটি শিল্পের দূষণের প্রভাব কমানোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি ধারণা পাওয়া যায়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, “পূর্বে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প পরিবেশ দূষণের দিক থেকে অধিক ঝুকিপূর্ণ হিসেবে লাল তালিকাভুক্ত থাকলেও পরবর্তীতে বিশেষ বিবেচনায় এটাকে কিছুটা কম ঝুঁকিপূর্ণ কমলা ক্যাটাগরিতে নেওয়া হয়।”
“শিল্প মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ ছিল এটাকে কমলা ক্যাটাগরিতে যেন বিবেচনা করা হয়। সংসদীয় কমিটি মনে করে, এটাকে লাল ক্যাটাগরিতেই ফিরিয়ে নেওয়া উচিত। এতে ক্যান্সারসহ স্বাস্থ্য্য ঝুঁকি রয়েছে। এজন্য আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরকে বিজ্ঞানসন্মতভাবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড যাচাই করে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলেছি।”