বৃষ্টি ও উজানের ঢলে টাঙ্গাইলের সব ক’টি নদীর পানি বাড়ছে। যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় টাঙ্গাইলের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এর ফলে ধলেশ্বরীসহ জেলার সকল অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার তীর উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় নতুন নতুন এলাকায় বন্যা কবলিত হচ্ছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইলে সব নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সদর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, গোপালপুর ও নাগরপুর উপজেলার নদীতীরবর্তী চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া, হুগড়া, কাতুলী, মামুদনগর; ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা, অর্জুনা, গোবিন্দাসী, নিকরাইল; কালিহাতী উপজেলার দুর্গাপুর, গোহালিয়াবাড়ি, সল্লা, দশকিয়া; গোপালপুর উপজেলার হেমনগর, নগদাশিমলা, ঝাউয়াইল এবং নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ, ভাড়রা, মোকনা, পাকুটিয়া ইউনিয়নের অর্ধশত গ্রাম সম্পূর্ণ ও গ্রাম শতাধিক আংশিক প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত ও চরাঞ্চলের মানুষ তাদের বাড়ির ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ৩০ হাজার পরিবার ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্রমাগত বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে টাঙ্গাইলের যমুনা, পুংলী, ঝিনাই, বংশাই ও ধলেশ্বরী নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি কমলে তীব্র ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভাঙন রোধে পাউবো কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
নদীতে পানি বেড়ে নিম্ন ও চরাঞ্চলের মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়লেও সরকারি কোন ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগে অতি দরিদ্রদেরকে যতটা পারছেন সহযোগিতা করছেন।