37 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
বিকাল ৫:৪৬ | ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
প্রাকৃতিক দুর্যোগ

পানি বাড়ছে কুশিয়ারার ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুরে, কমছে সুরমায়

সিলেটে কুশিয়ারা নদীর উজান-ভাটির চারটি পয়েন্টের মধ্যে পানি বাড়ছে ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর পয়েন্ট দিয়ে। সুরমার পানি উজান-ভাটির দুটো পয়েন্ট দিয়েই কমছে। শনিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ‘ডেইলি ওয়াটার লেভেল ডেটা’ সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছেন পাউবোর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার।

সিলেট অঞ্চলের প্রধান দুই নদী সুরমা-কুশিয়ারা ছাড়াও সীমান্ত নদী হিসেবে পরিচিতি সারী ও লোভা নদীর পানিপ্রবাহ পরিমাপ করে পাউবো। চারটি নদীর আটটি স্থানের পানির প্রবাহ পরিমাপ করে প্রতিদিন সকাল, দুপুর, সন্ধ্যায় প্রচার করা হয় ‘ডেইলি ওয়াটার লেভেল ডেটা’। এতে দেখা গেছে, কুশিয়ারার পানি শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল ৯টা ও দুপুর ১২টায় জকিগঞ্জের অমলসিদ ও বিয়ানীবাজারের শেওলা পয়েন্টে কমছে। একই সময়ে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের শেরপুর পয়েন্টে বাড়ছে।

সুরমা নদীর দুটো পয়েন্টের মধ্যে একটি পড়েছে নদীর উজানে কানাইঘাটে। সেখানে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও পানি কমছে। আর ভাটির দিকে সিলেট পয়েন্টে (শহর) পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাউবো জানায়, শনিবার দুপুর ১২টায় সেখানে পানি ১০ দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। একই সময়ে কানাইঘাটে প্রবাহিত হচ্ছিল ১৩ সেন্টিমিটার দিয়ে। এই দুই পয়েন্টে বিপৎসীমা যথাক্রমে শহরে ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার ও কানাইঘাটে ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার।

কুশিয়ারা নদীর পানিপ্রবাহ শুক্রবারের মতোই। নদীর উজানে উৎসমুখের অমলসিদ, শেওলা পয়েন্টে পানি কমছে। বাড়ছে ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুরে। শনিবার সকাল ও দুপুরের মধ্যে অমলসিদ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি ১৫ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার থেকে নেমে ১৫ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সেখানে বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। শেওলা পয়েন্টে ১৩ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার থেকে নেমে ১৩ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

মৌলভীবাজারের শেরপুরে কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও পানি বাড়ছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ৮ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার থেকে বেড়ে ৮ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সেখানে বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া কুশিয়ারার ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি সন্ধ্যায় ৯ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার থেকে বেড়ে ৯ দশমিক ৯৮ সেন্টিমিটারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে শনিবার সকাল ও দুপুরে পানি অপরিবর্তিত অবস্থায় আছে।

সুরমা-কুশিয়ারা ছাড়াও পানি কমছে সিলেটের অন্যান্য নদ-নদীর। শনিবার দুপুরের দিকে লোভা নদীর লোভাছড়া পয়েন্টে পানি ১৪ দশমিক ০৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ নদীতে শুক্রবার সন্ধ্যায় পানি ১৪ দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। সারী নদীর জৈন্তাপুরের সারীঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার দুপুরে সেখানে ১০ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার, সকালে ১০ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার ও শুক্রবার সন্ধ্যায় ১০ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সারীঘাটে পানির বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত