36 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
সন্ধ্যা ৬:১২ | ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
পরিবেশ রক্ষায় সেন্ট মার্টিন থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য সরালেন স্বেচ্ছাসেবীরা
পরিবেশ রক্ষা

পরিবেশ রক্ষায় সেন্ট মার্টিন থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য সরালেন স্বেচ্ছাসেবীরা

পরিবেশ রক্ষায় সেন্ট মার্টিন থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য সরালেন স্বেচ্ছাসেবীরা

প্রতি বছরের মতো এবারও বঙ্গোপসাগরের প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন থেকে পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই ছয় হাজার ৬৩৪ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সরিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।

টানা তিন দিন সেন্ট মার্টিনের অলিগলি ও সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্লাস্টিক বোতল, প্লাস্টিকের প্যাকেটসহ নানান ধরনের অপচনশীল ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহে নেতৃত্ব দেয় ‘কেওক্রাডং বাংলাদেশ’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

সংগঠনটির স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, প্রতিবছর হাজার হাজার পযর্টক প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে এসে ফেলে যান নানা রকম প্লাস্টিক বর্জ্য। সঙ্গে যোগ হয় স্থানীয়দের ব্যবহারিত বিভিন্ন পলেথিন বর্জ্য।



অপচনশীল এসব প্লাস্টিক বর্জ্যের ভারে হুমকিতে পড়েছে ছোট্ট এই দ্বীপের প্রাণ-প্রকৃতি। ভ্রমণ মৌসুম শুরুর ঠিক আগে সেন্ট মার্টিনের সমুদ্র সৈকত আর লোকালয়ের যত্রতত্র পড়ে থাকা এসব প্লাস্টিক বর্জ্য সরানোর কাজ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কেওক্রাডং বাংলাদেশের সদস্যরা।

কেওক্রাডং বাংলাদেশ ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে আন্তর্জাতিক সংস্থা ওশান কনজারভেন্সির বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনআপ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কোকা-কোলা বাংলাদেশের সহযোগিতায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করে। ওশান কনজারভেন্সির বাংলাদেশের সমন্বয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হচ্ছে কেওক্রাডং বাংলাদেশ।

স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, এসব প্লাস্টিক বর্জ্য ২০৫টি বস্তায় ভর্তি করে সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফে নিয়ে আসা হয়। এরপর ইউনিলিভার বাংলাদেশের চট্টগ্রামের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ইপসা- এই বর্জ্যগুলো কেওক্রাডং বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে বুঝে নেয়।

বর্জ্যগুলো সেখান থেকে ট্রাকযোগে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে। প্রথমে প্লাস্টিকের প্রকারভেদে আলাদা করে চট্টগ্রামে অবস্থিত রিসাইক্লারদের কাছে হস্তান্তর করে এবং এর রিসাইক্লিং নিশ্চিত করা হয়।



কেওক্রাডং বাংলাদেশের সমন্বয়কারী মুনতাসির মামুন বলেন, সামুদ্রিক আর্বজনা বা মেরিন ডেবরিজ বর্তমান দুনিয়াতে বহুল আলোচিত। এর মূল কারণ হিসেবে মেরিন ডেবরি থেকে যে মাইক্রোপ্লাস্টিক/মাইক্রোফাইবার বা যে কোনো ধরনের প্লাস্টিকের কণা সামুদ্রিক পরিবেশ তথা যেকোনো পরিবেশের সঙ্গে যে হারে মিশে যাচ্ছে তাতে আমাদের খাদ্যশৃঙ্খলে প্লাস্টিকের উপস্থিতি, মানবদেহে, রক্তে, মলে এমনকি মাতৃদুধেও প্লাস্টিক কণা পাওয়া যাচ্ছে। এর ভয়াবহতার পরিমাপ আমাদের এখনও পুংখানুপঙ্খভাবে করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে ভৌগলিক কারণে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের অন্তিম গন্তব্য যেকোনো জলাধার হয়ে থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই।

আর সেন্ট মার্টিনের মতো ছোট দ্বীপে পড়ে থাকা প্লাস্টিক যদি মূল ভূখণ্ডে নিয়ে আসা না হয় তবে এর পরিণাম শুধু এই দ্বীপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। ছড়িয়ে পড়ে বঙ্গোপসাগরে। আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস ছিল আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেই পরিণামকে যতটা সম্ভব সীমিত করা।

সেন্ট মার্টিনের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সেন্টমাটিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার এ উদ্যোগটি খুবই প্রশংসনীয়।

সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করলে অবশ্যই সফল হওয়া সম্ভব হবে। আগামীতে সেন্ট মার্টিনে এ ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করলে দ্বীপের পরিবেশের জন্য তা খুবই উপকার বয়ে আনবে।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত