পরিবেশ রক্ষায় ভারত নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন মোদির
জীবনযাত্রায় সামান্য বদল আনলেই বিপদ রুখে দেওয়া সম্ভব। পরিবেশ বদলের মতো অভিশাপ থেকে রক্ষা পেতে পারে মানবজাতি। আর সেই লক্ষ্যে বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে ভারত।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে পাশে বসিয়ে গুজরাটের একতা নগরে ‘মিশন লাইফ’ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আশা দেখালেন, সামান্য বদলেই জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বড় ঘটনার প্রভাব এড়ানো সম্ভব।
দৈনন্দিন জীবনে পুনর্ব্যবহারযোগ্য সামগ্রীর ব্যবহার আরও বাড়িয়ে তোলার পক্ষে সওয়াল করলেন মোদি। তাঁর কথায়, ‘এটা ভারতবাসীর জীবনের অভ্যাসই ছিল। তাকেই ফিরিয়ে আনতে হবে। যে কোনও সামগ্রীকে পুনরায় ব্যবহার করা যায় কি না, সেদিকে বাড়তি নজর দিতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘ধরুন, অনেকেই এসির তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখেন। তাতে পরিবেশে কুপ্রভাব পড়ে। জিম বা কাছাকাছি কোথাও যেতে হলে সাইকেল ব্যবহার করুন।
দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় সামান্য বদল আনতে পারলেই অনেকটা ঠেকানো যাবে আসন্ন বিপদ। এই যে হিমবাহ গলছে, নদী শুকিয়ে যাচ্ছে, এসবের বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে। আর ‘মিশন লাইফ’ সেই লড়াইয়ে অনেকটা সাহায্য করবে।’
গুজরাটে ‘মিশন লাইফ’ সূচনামঞ্চে হাজির ছিলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এই মুহূর্তে তিনি তিনদিনের সফরে ভারতে রয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে তাঁকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
পরিবেশ রক্ষায় ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করে গুতেরেস আশাপ্রকাশ বলেন, ‘উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করছে ভারত। প্যারিসে COP-27 সম্মেলন রাজনৈতিক দিক থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
পরিবেশ বদলে অর্থনীতিও ব্যাপক ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে যাবে। আর সেই ক্ষেত্রে ভারত উন্নত বিশ্বের বিশ্বাস অর্জনে সাফল্য লাভ করবে বলেই আশা।এককভাবে নয়, সংগঠিত হয়েই বিশ্বকে বাঁচাতে হবে।’
উন্নত দেশগুলি যদি নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, তাহলে সমাধান মিলবে বলেই আশাবাদী গুতেরেস।
মোদির ‘মিশন লাইফ’ প্রকল্পের প্রশংসা করেছেন বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতারা। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ভিডিও বার্তা দিয়ে এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে কাজের কথা জানিয়েছেন।
এছাড়া ইংল্যান্ড, জর্জিয়া, মাদাগাস্করের মতো দেশের প্রধানরাও হাত বাড়িয়েছেন মোদির এই প্রকল্পে কাজের জন্য। এখন ‘মিশন লাইফ’-এর সাফল্যের অপেক্ষা।