পরিবেশ রক্ষায় বন সংরক্ষণ করতে হবে
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাসযোগ্য টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে রাষ্ট্রের সব শ্রেণি পেশার লোকজন সম্মিলিতভাবে কাজ করলে বন সংরক্ষণ ও উন্নয়নে সফল হবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধি, বননির্ভর জনগোষ্ঠী, বনে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবার ঐকান্তিক সহযোগিতা একান্তভাবে প্রয়োজন।’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নির্দেশনায় বন অধিদফতরের নানা কার্যকর উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশে বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ২০১৫-২০১৯ সময়কালের বন সার্ভে মোতাবেক দেশে বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ ছিল দেশের মোট আয়তনের ২২ দশমিক ৩৭ ভাগ, যা ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে।’
বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবুসহ অন্যরা।
বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপন করেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান এবং উপপ্রধান বন সংরক্ষক ও সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়।
মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘প্রাণিকুলের বেঁচে থাকার মৌলিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে অধিক পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতেই হবে। আমাদের যেটুকু বনাঞ্চল আছে, সেটার সংরক্ষণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি খালি ও পতিত জায়গায় গাছ লাগাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বন অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে পতিত ও প্রান্তিক সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমি বনায়নের আওতায় এসেছে।’ মন্ত্রী এসময় বনরক্ষায় দেশপ্রেম ও নিবেদিতভাবে কাজ করতে বনবিভাগের কর্মচারীদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘বন বিভাগের সক্ষমতা বাড়াতে শূন্যপদ পূরণসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’