30 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
ভোর ৫:০৬ | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
পরিবেশ রক্ষায় বন্ধ করতে হবে ইটের ব্যবহার: পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিবেশ রক্ষা

পরিবেশ রক্ষায় বন্ধ করতে হবে ইটের ব্যবহার: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিবেশ রক্ষায় বন্ধ করতে হবে ইটের ব্যবহার: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমাদের নির্মাণ বলতে ইট ব্যবহারকে বুঝি। গানে কবিতায় ইট-পাথরের শহর বলে থাকি। ইট আমাদের অতি পরিচিত শব্দ। তবে পরিবেশ রক্ষায় বন্ধ করতে হবে ইটের ব্যবহার। এই নির্দেশনা আমাদের মানতে হবে।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) নগরীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের রুপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে ‘উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্তিকরণ’ বিষয়ক এক আলোচনায় মন্ত্রী এ বলেন।



মন্ত্রী বলেন, ভবন নির্মাণে ইটের পরিবর্তে বালু, সিমেন্ট ও নুড়ি পাথরের ব্লক ব্যবহার বাড়াতে হবে। এটি পরিবেশবান্ধব এবং ব্লকের তৈরি ভবন ভূমিকম্প সহনীয়।

এর ব্যবহারে নির্মাণ ব্যয়ও কম। সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকল্পে ইটের বদলে ব্লক ব্যবহার করতে হবে। ২০২৫ সালের পরে আর পোড়ানো ইট নয়, ব্লকে যেতে হবে।

তিনি বলেন, ২০১৯-২০ সালে ভবন নির্মাণে পোড়ানো ইটের ব্যবহার ১০ শতাংশ কমানো হয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পেও ইটের বদলে ব্লক ব্যবহার হচ্ছে। তবে ২০২৪-২৫ সালে গিয়ে ইটের বদলে শতভাগ ব্লক চলে আসব।

এরপর আর ইট ব্যবহার করা হবে না। অনেক সচিব বলেন এটা কেউ মানছে না। যারা নির্মাণ কাজ করে বিশেষ করে সড়ক ও জনপথ, গণপূর্ত, এলজিইডি তাদেরও ব্লক ব্যবহার করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা ইট পুড়িয়ে ব্যবহার করি। এটা দূষণের অন্যতম উৎস। উন্নত দেশগুলো ইট পুড়িয়ে ব্যবহার করে না। তারা দূষণের উৎস ব্যবহার করে না। এশীয় অঞ্চলের জাপানেও ইট পুড়িয়ে ব্যবহার করা হয় না।

অনেকে বলে আমাদের প্রতিবেশীদের খবর কি? ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কাও পর্যায়ক্রমে পোড়ানো ইট ব্যবহার থেকে সরে যাচ্ছে। এসব দেশ বেশ এগিয়ে গেছে। ইট পোড়ানো বন্ধ হলে দূষণ থেকে রক্ষা পাব।



সেই বিবেচনায় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, একটা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। পর্যায়ক্রমে ইট কমিয়ে ফেলে ব্লক ব্যবহার করা হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আপানারা প্রকল্প নিয়ে আসেন আমরা অনুমোদন দিয়ে দেব। আজ সঙ্গত কারণেই ব্লক নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। পরিবেশ সুরক্ষা জরুরি। এটা আমাদের নির্দেশনা দিতে হবে।

আরও অনেক বিষয় আছে পরিবেশ এমন একটা জিনিস এটাকে রক্ষা করতেই হবে। আমরা পরিবেশ দূষণ নিয়ে শঙ্কিত। আমরা পরিবেশ থেকেই উৎপত্তি, আবার আমি পরিবেশেই ফিরে যাব।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আপনাদের সঙ্গে থাকবে। পোড়ানো ইটের ব্যবহার বন্ধ করতে যা প্রয়োজন তাই করব।

জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। যে সময় ঢাকায় খুব গরম দেখা যায় সে সময় গ্রামে শীত। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে মানুষ শঙ্কায় আছে। নানা কারণে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে।

জলবায়ু মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। তবে জলবায়ু প্রকল্প বাস্তবায়নে ঢিলেমি হয়, সময় বেশি লাগে। জলবায়ু প্রকল্প বাস্তবায়নে গিয়ে প্রায়ই হোঁচট খেতে হয়। এটা নিয়ে আমাকে নানা ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়।

তবে প্রকল্প বাস্তবায়ন শুধু প্রকল্প বাস্তবায়ন নয়। এর সঙ্গে আরও বিভিন্ন বিষয় আছে, সরকারের নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করতে হয়।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, ইউএনডিপির (জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি) আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি প্রমুখ।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত