29 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
বিকাল ৩:৪৯ | ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
পরিবেশ রক্ষায় ঢাকায় জরুরি অবস্থা জারির পরামর্শ পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের
পরিবেশ রক্ষা

পরিবেশ রক্ষায় ঢাকায় জরুরি অবস্থা জারির পরামর্শ পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের

পরিবেশ রক্ষায় ঢাকায় জরুরি অবস্থা জারির পরামর্শ পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের

চলতি মাসে ঢাকার লোকজনের একদিনও ভালো বায়ু সেবনের সৌভাগ্য হয়নি। এই সময়ে বায়ুমান ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় ছিলো। ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত গড় হিসাবে বায়ুমান সূচক ছিলো ২১৯.৫২। যা জরুরি অবস্থা জারির পর্যায়ে।

এমন পরিস্থিতি টানা ৩ দিন থাকলে বিশ্বের যে কোনো দেশ স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি করে। অথচ টানা ২৫ দিন এই অবস্থা থাকলেও নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার।



এর প্রেক্ষিতে দ্রুত বায়ু দূষণের ক্ষতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারির পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।

সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার তথ্য তুলে ধরে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ণ কেন্দ্র (ক্যাপস)-এর পরিচালক ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার জানান, ২০১৬-২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বায়ুমান সূচক (একিউআই)-এর তথ্য বলছে, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে গড় বায়ু দূষণ বেড়েছে ৯.৮ শতাংশ। ২০২২ সালে জানুয়ারিতে গড় বায়ুমান সূচক ২১৯.৫২ এ দাঁড়িয়েছে। যা খুবই অস্বাস্থ্যকর।

ঢাকার ১০টি স্থানের গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ২০২১ সালে ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত ছিলো তেজগাঁও এলাকা (প্রতি ঘনমিটারে ৭০ মাইক্রোগ্রাম)।

দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলো শাহবাগ এলাকা (প্রতি ঘনমিটারে ৬৮ মাইক্রোগ্রাম)। প্রত্যকটি স্থানের গড় বস্তুকণা ছিলো ২.৫। যা মান মাত্রার কয়েক গুণ বেশি।

গবেষণা অনুযায়ী, আহসান মঞ্জিল, আবদুল্লাহপুর, মতিঝিল, ধানমন্ডি-৩২, সংসদ ভবন, আগারগাঁও, মিরপুর-১০ এবং গুলশান-২ এ গড় বস্তুকণা ছিলো ২.৫। প্রতি ঘনমিটারে যথাক্রমে ৫৭, ৬২, ৬০, ৬৩, ৫৯, ৬১, ৬৬ ও ৬৫ মাইক্রোগ্রাম। যা নির্ধারিত মান মাত্রার প্রায় ৪-৫ গুণ বেশি।

তিনি জানান, দৈনিক ২৪ ঘণ্টা ভিত্তিতে রাজধানীর বায়ু দূষণের মান সবচেয়ে খারাপ অবাস্থানে থাকে রাতে। বিকাল ৪টার পর থেকে বায়ু দূষণের মান খারাপ হতে শুরু করে যা রাত ১১ টা থেকে ২টার মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছায়।

এই পরিস্থিতির জন্য নগর পরিকল্পনায় ঘাটতি, আইনের দূর্বলতা, আইন প্রয়োগের সীমাবদ্ধতা ও সর্বোপরি সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ ও জনসচেতনতার ঘাটতিকেই দায়ী করেন অধ্যাপক ড. কামরুজ্জমান।



সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে বাপা‘র সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, নগরের বায়ুর মান ক্রমান্বয়ে বিপজ্জনক পর্যায়ে যাওয়ার পরও নাগরিকদের অবগত না করায় সরকারের বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

তিনি অবিলম্বে সরকারকে ঢাকার বায়ু সম্পর্কে যথাযথ তথ্য দেওয়ার দাবি জানান। জীবন হুমকির মুখে ফেলা উন্নয়ন চান না বলেও উল্লেখ করেন।

বাপা‘র নির্বাহী কমিটির সদস্য এম এস সিদ্দিকী বলেন, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও নির্মাণ কাজের ফলে ঢাকার দূষণ বেশি হচ্ছে। এই দূষণ কমাতে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি। সরকার পরিকল্পনা ও বাজেট যথাযথ ব্যয় করলে নির্মাণ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গত এক দশকে ব্যবহৃত মোবাইল ও ইলেক্ট্রনিকস সামগ্রীর ব্যাটারি কীভাবে ব্যবস্থাপনা করা হয় ও সেগুলো থেকে কী পরিমাণ দূষণ হয় তার সঠিক হিসাব বের করতে সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোকে অনুরোধ জানান বাপা‘র নির্বাহী কমিটির সদস্য ইবনুল সাঈদ রানা।

ক্যাপসের গবেষণা শাখার প্রধান আব্দুল্লাহ আল নাঈম বলেন, ধূলা দূষণের পাশাপাশি নগরীর গ্যাসীয় দূষণ ও বাতাসে সীসা দূষণের পরিমাণও বেড়ে চলেছে।

সীসা দূষণের অন্যতম উৎস যেমন- ব্যাটারি ও সালফার যুক্ত গ্যাসোলিনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। যুব বাপা‘র সদস্য সচিব রাওমান স্মিতা, দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ও জনগণকে শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত