পরিবেশ রক্ষার খবর দিতে সাইকেলে চেপে নদিয়া থেকে দার্জিলিঙে ৮ বন্ধু
বাঁচবে পরিবেশ। দূষণহীন হবে পৃথিবী। পরিবেশ দূষণের কালো ছায়া সরে তৃপ্তির শ্বাস নেবেন সকলে। এই বার্তা দিতেই সমতল থেকে পাহাড়ে ছুটলেন আট বন্ধু।
রঙের উৎসবে পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে নদিয়ার ফুলিয়া থেকে সাইকেলে চেপে দার্জিলিং যাচ্ছেন ৮ তরুণ। এই দীর্ঘ যাত্রায় পরিবেশ বাঁচানোর বার্তা দেবেন তাঁরা। ছোট ছোট ক্যাম্পেনও হবে।
খেলার মাঠেই ঘনিষ্ঠতা রূপ নেয় প্রগাঢ় বন্ধুত্বে। হোলির রঙিন তারুণ্য পেছনে ফেলে পরিবেশের বাঁচানোর বার্তা দিতে ফুলিয়ার আট জন বন্ধুর দল ছুটল দার্জিলিঙের পথে। এই দলের মহিতোষ ঘোষ পায়ে দৌড়ে এবং দীপঙ্কর, গোপাল, সুরজিৎ, সমীরন, অজয়, সুজিত, প্রলয় ও বাকি সাত বন্ধু সাইকেল নিয়ে পাড়ি দিলেন পাহাড়ে।
প্রত্যেকেরই উদ্দেশ্য এক। নেশামুক্ত জীবন গড়ার লক্ষ্য নিতে হবে। তরুণদের বোঝাতে হবে নিয়মিত শরীরচর্চা কতটা জরুরি। জল, মাটি, বায়ু সব ধরনের পরিবেশ দূষণ থেকে পৃথিবীকে বাঁচানোর বার্তা দিতে হবে সকলকে।
গাছ লাগানোর প্রয়োজনীয়তা কতটা তাও বোঝাবেন তাঁরা। যাত্রাপথে বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট ছড়িয়ে পথের পাশে ছোট ছোট সেমিনার করে এগিয়ে চলবেন আট বন্ধু। ফুলিয়া শিক্ষানিকেতন মাঠে থেকেই তাঁদের বন্ধুত্ব, আর আজ যাত্রা শুরু হল সেখান থেকেই।
সকলেই চাকদহ কলেজের ছাত্র। তাঁদের এই উদ্যোগে পাশে ছিলেন প্রাক্তন সেনাবাহিনীর সংগঠনের সদস্যরা এবং স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উৎপল বসাক। তিনি তাঁর পঞ্চায়েত ফুলিয়া টাউনশিপ নামাঙ্কিত গেঞ্জি তুলে দেন তাঁদের হাতে।
শুভ এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়ে তিনি বলেন প্রশাসনিকভাবে তাদের যাত্রাপথ যাতে সুপ্রশস্ত হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখব। অন্যদিকে বিভিন্ন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ এবং প্রচলিত সাধারণ মানুষও তাঁদের শুভকামনা জানান।
একমাত্র পায়ে দৌড়ে দার্জিলিং পৌঁছনোর লক্ষ্য নিয়েছেন মহিতোষ ঘোষ, তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য সফল হবেই। ব্যাগপত্র এবং শুকনো খাবার নেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। পথের মাঝে তাদের সহযোগিতা নেওয়া যাবে। তবে প্রখর রোদের কারণে দুপুরের দিকটা বিশ্রাম নিয়ে সারারাত এবং সকাল বিকাল গন্তব্যে পৌঁছনোর কাজে লাগানো যাবে।’