পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইটিপি স্থাপন করতে হবে: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, প্রতিটি ভবনে ও বাড়িতে জেনেরেটর, এসিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস ঠিকই স্থাপন করা হয়।
কিন্তু কার্যকর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ভবনে ইটিপি স্থাপন করা হয় না। পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সরাসরি বৃষ্টি পানি নামার সারফেস ড্রেন দিয়ে শহরের খাল ও জলাশয় দূষণ করা হচ্ছে। শহর বাঁচাতে অ্যাট সোর্সে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিকল্প নেই।
রবিবার (৪ ডিসেম্বর) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে স্থানীয় সময় সকালে এশিয়া ইন্টিটিউট অফ টেকনোলজির এক প্যানেল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় ডিএনসিসি মেয়র বলেন, শহরের পরিবেশ রক্ষায় নগরবাসীকে নিজস্ব উদ্যোগে বাসাবাড়িতে কার্যকর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এ বিষয়ে ডিএনসিসিতে আমরা ব্যাপক সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, বিভিন্ন অঞ্চলের সোসাইটিগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা ও ওয়ার্কশপ করেছি। তাদের স্ব স্ব এলাকায় জনগণকে সচেতন করার নির্দেশ দিয়েছি। খালে বা সারফেস ড্রেনে পয়ঃবর্জ্য নিষ্কাশনের সংযোগ পাওয়া গেলে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
মেয়র আরো বলেন, পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সংযুক্ত করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ সমস্যা সমাধান সম্ভব।
পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট বাজারে সহজলভ্য করতে হবে। এসময় কার্যকর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থার জন্য জনগণের মানসিক পরিবর্তন খুবই জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সবশেষে ডিএনসিসি এলাকায় আধুনিক পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক সহযোগী সংগঠনগুলোকে গবেষণা ও কারিগরি সহায়তা দেওয়ার আহ্বান করেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।