পরিবেশ বিপর্যয় রুখতে জনসচেতনতা একান্ত জরুরি
পরিবেশ রক্ষায় শুধু আইন নয়, সবার আগে প্রয়োজন জনসচেতনতা। প্রত্যেককে যার যার জায়গা থেকে পরিবেশ সংরক্ষণ করতে হবে। জনসচেতনতাই পারে পরিবেশ বিপর্যয় রুখতে। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বায়ু দূষণ: আমাদের করণীয় ও পদক্ষেপ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, শুধু সরকারের একার পক্ষে পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব নয়। এজন্য সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। ব্যক্তি-সামাজিক-রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে পরিবেশবান্ধব আচরণ করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী পরিবেশ ধ্বংসে পঁচাত্তর পরবর্তী অতীতের সরকারগুলোর নানা কার্যক্রমের সমালোচনা করেন। ইটভাটার আধিক্য, এয়ার কন্ডিশনের অধিক ব্যবহার এবং দেশি গাছ কেটে ক্ষতিকর গাছ লাগানোয় পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘অতীতের সরকারগুলো নানা অজুহাত ও ভুল পদক্ষেপে পরিবেশ ধ্বংস করেছে।’
নগর ও পরিবেশবিদ অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণ রোধ ও সুরক্ষায় অনেক উন্নত দেশের চেয়েও ভালো আইন-কানুন আছে, এমনকি পরিবেশ আদালতও রয়েছে।
সংবিধানেও পরিবেশ সুরক্ষার কথা বলা আছে। এখন যেটা সবচেয়ে বেশি জরুরি দরকার, সেটা হলো জনসচেতনতা। যার-যার আচরণে পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। ’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় কেবল আইন-কানুনই যথেষ্ট নয়। মানুষকে সচেতন ও তাদের উদ্বুদ্ধ করা না গেলে সরকারের একার পক্ষে পরিবেশ দূষণ রোধ তথা রক্ষা করা যাবে না।’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন।
আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশবিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আফতাব আলী শেখ।
আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমান কার্জন, সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ, পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কামরুল ইসলাম চৌধুরী ও সাংবাদিক জাহিদুজ্জামান প্রমুখ।