পরিবেশ দূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা একান্ত জরুরি
বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন একটি সুন্দর পরিবেশ। যতই দিন যাচ্ছে, ততই যেন কঠিন হয়ে পড়ছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন। পরিবেশের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ মিশ্রিত হয়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। পরিবেশের প্রধান উপাদানগুলো হচ্ছে মাটি, পানি ও বায়ু। মানবসৃষ্ট নানা কারণে পরিবেশের এই উপাদানগুলো দূষিত হচ্ছে।
পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণগুলো হচ্ছে- শিল্প কলকারখানার ময়লা বর্জ্য পদার্থ, জমিতে অতিরিক্ত মাত্রার কীটনাশক সারের ব্যবহার এবং যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া ইত্যাদি।
বিশেষ করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন ধরনের কলকারখানার বর্জ্য ফেলানো হয় বুড়িগঙ্গা নদীতে, ফলে নদীর পানি দূষিত হয়ে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে এবং আশপাশে বসবাসরত মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এরকম বাংলাদেশের অধিকাংশ নদীর পানিই দূষিত হচ্ছে।
বায়ুর সঙ্গে যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া যেমন- ইটের ভাটার ধোঁয়া, গাড়ির কালো ধোঁয়া, ফ্রিজ থেকে নির্গত ঈঋঈ গ্যাস ইত্যাদি পরিবেশের সঙ্গে মিশে অক্সিজেন (ঙ২)-এর পরিমাণ কমে কার্বন ডাইঅক্সাইড (ঈঙ২)সহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে অস্বাভাবিক তাপমাত্রার বৃদ্ধি, শ্বাসজনিত রোগ, ক্যানসারসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
এ জন্য পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখার জন্য কালো ধোঁয়ার সৃষ্টি করে এমন যানবাহন, কীটনাশক, কলকারখানার ব্যবহার কমিয়ে, বেশি বেশি গাছ লাগিয়ে এবং রিসাইকেল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে পারি। এ ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় হচ্ছে বেশি বেশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। ‘গাছ লাগান পরিবেশ পরিবেশ বাঁচান’।