পরিবেশ দূষণের শঙ্কা নেই ভোলায় ট্যাংকারডুবিতে: বিপিসি
ভোলায় তেলের ট্যাংকারডুবিতে পরিবেশদূষণের কোনও শঙ্কা দেখছে না বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয়েছে দুইটি কমিটি।
বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ বলেন, ট্যাংকারে আনুমানিক ১০টি চেম্বার ছিল। এরমধ্যে একটি চেম্বার সম্ভবত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সেখান থেকে কিছু তেল মেঘনায় ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিমাণ আনুমানিক এক থেকে দেড় হাজার লিটারের বেশি নয়। এরমধ্যে আবার কিছু তেল স্থানীয়ভাবে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে ভোলা জেলার তুলাতুলি নামক স্থানে মেঘনা নদীতে ‘ওটি সাগর নন্দিনী-২’ নামে তেলবাহী জাহাজটি ডুবে যায়। জাহাজটিতে ৭৫৮ মেট্রিক টন ডিজেল এবং ১৭১ মেট্রিক টন অকটেন ছিল। টাকার হিসাবে আনুমানিক ১২ থেকে ১৩ কোটি টাকার তেল সেখানে ছিল।
বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা ঘটার পর সকালে কোস্টগার্ড এবং নৌ পুলিশ ট্যাংকারটি চারিদিকে অয়েল ব্যারিকেড বুমের মাধ্যমে ঘিরে রাখে এবং জাহাজ হতে ছড়িয়ে পড়া কিছু তেল পানির উপর থেকে হোজ পাইপের মাধ্যমে উদ্ধার করে ৭টি ড্রামে পূর্ণ করা হয়।
চেয়ারম্যান জানান, তেল পানিতে ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে কিনা তা দেখতে ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদফতরের লোকজনও সেখানে গিয়েছেন। পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে কিনা সেজন্য পানি পরীক্ষা করা হচ্ছে।
বিপিসি জানায়, পদ্মা অয়েল কোম্পানির পক্ষ হতে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, দুর্ঘটনার দায় নিরূপণসহ উদ্ধারকৃত জ্বালানি তেল ও ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের জন্য ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
ওই কমিটির সদস্যরা দুর্ঘটনাস্থলে অবস্থান করে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে বিপিসিও তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছে। তারাও ওই এলাকায় অবস্থা করছে। দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিপিসি জানায়, পদ্মা অয়েলের সাথে মালিকের যে চুক্তি হয়েছে সে অনুযায়ী, যেটুকু তেল পানিতে নষ্ট হয়েছে তাতে বিপিসির কোনও লোকসান হবে না। সে দায় মালিকের। আর কোনও তেল যাতে নদীতে ছড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া।
জানা যায়, জেটি থেকে ট্যাংকারটি ছেড়ে যায় ২৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টায়। পরদিন ভোর ৪টায় কুয়াশার মধ্যে ভোলা জেলার তুলাতুলি নামক স্থানে অন্য জাহাজের সাথে ধাক্কা লাগে। ধাক্কাটি মূলত ট্যাংকারটির ইঞ্জিন রুমে লাগে।