পরিবেশ বান্ধব নির্মাণে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার
পরিবেশবান্ধব ও টেকসই নির্মাণসামগ্রীর বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে কাজ করছে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই)। প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে ৩৪টি পরিবেশবান্ধব উপকরণ অন্তর্ভুক্ত করেছে। পরিবেশ বাঁচাতে সব ভবন নির্মাণে এসব সামগ্রীর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, উপকূলীয় এলাকায় পরিবেশবান্ধব ও টেকসই ভবন নির্মাণের বিষয়েও নির্দেশিকা তৈরি করেছে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এ নির্দেশিকা মেনে ভবন নির্মাণ করলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকেও রক্ষা পাবে ভবন।
রবিবার রাজধানীর মিরপুরে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত ‘মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংসদ কাজিম উদ্দিন ও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আশরাফুল আলম।
শরীফ আহমেদ বলেন, সরকার পরিবেশবান্ধব নির্মাণে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। ভবিষ্যতে নির্মাণসামগ্রী যাতে পরিবেশবান্ধব হয়, সে জন্য নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, ইটভাটা পরিবেশের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এতে উর্বর মাটি পোড়ানো হয়, যা কৃষিজমির জন্য ক্ষতিকর। এটি কমাতে পরিবেশবান্ধব নির্মাণে গুরুত্ব দিতে হবে ও ইটভাটার ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।
মো. শহীদ উল্লা খন্দকার আরো বলেন, ‘এইচবিআরআই থেকে যাতে আরও গবেষণা হয় ও জনবল বাড়িয়ে কাজের গতি বাড়ানো যায়, সে জন্য গবেষণায় বরাদ্দ বেশি করা ও জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে আমরা কাজ করছি।’
হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আশরাফুল আলম সরকারকে এইচবিআরআইয়ের প্রতি বিশেষ নজর দিতে, জনবল বাড়াতে, গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধিতে ও অবসর পাওয়া কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের পেনশন দেওয়ার আহ্বান জানান।