পরিবেশগত ছাড়পত্রের শর্ত সঠিক ভাবে পালিত হচ্ছে কি না, তদারকির নির্দেশ হাইকোর্টের
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় অবস্থিত রয়েল হোমস লিমিটেডের রয়েল সিটি ও দক্ষিণ সুরমা সিটি লিমিটেডের সোনারগাঁ আবাসিক এলাকা নামের দুটি আবাসন প্রকল্পের ক্ষেত্রে পরিবেশগত ছাড়পত্রের শর্তগুলো যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে কি না, তা তদারক করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা আপিল নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ আজ রোববার এ আদেশ দেন।
বেলা জানায়, পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া ওই উপজেলার চারটি বিল ভরাট ও বিলে দুটি প্রকল্প নির্মাণের অভিযোগ তুলে বেলার করা রিটের ওপর ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।
রায়ে পরিবেশগত ছাড়পত্র নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের চাওয়া সব তথ্য দিতে ও শর্ত পূরণ করতে আবাসন কোম্পানি দুটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
কোম্পানি দুটি যাতে যথাযথ অনুমোদন পায়, সে বিষয়েও আইনগত ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়। রায়ের এই অংশের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে আপিল করে বেলা। শুনানি শেষে আপিল নিষ্পত্তি করে আজ আদেশ দেওয়া হয়।
আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী। রয়েল হোমস লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুব মোর্শেদ।
পরে বেলার আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী বলেন, পরিবেশগত ছাড়পত্রের শর্তের মধ্যে প্রকল্পের কার্যক্রমের মাধ্যমে কোনো ধরনের জলাভূমি ভরাট করা যাবে না বলে উল্লেখ রয়েছে।
পরিবেশগত ছাড়পত্রের শর্তগুলো যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে কি না, তা তদারক করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রয়েল হোমস লিমিটেডের আইনজীবী মাহবুব মোর্শেদ বলেন, হাইকোর্টের রায়ের পর ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর পরিবেশ অধিদপ্তর রয়েল সিটিকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দিয়েছে, যার মেয়াদ ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত।
হাইকোর্টের রায়ের অংশবিশেষ সংশোধন করে আপিল বিভাগ পরিবেশগত ছাড়পত্রের শর্তগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। পরিবেশগত ছাড়পত্রের শর্ত মেনে আবাসন প্রকল্পটির কার্যক্রম পরিচালনায় আইনগত বাধা নেই।