লাউয়াছড়ায় বনভূমি দখলের জন্য পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে কতটা ক্ষতি হয়েছে ধারণা করা যাচ্ছে না। কিন্তু আগুনে বনের অনেক ক্ষতি হয়েছে।আগুনে জীববৈচিত্র্য ও অনেক গাছ পুড়ে গেছে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানসংলগ্ন বনেই এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরিবেশ মন্ত্রীর মৌখিক নির্দেশনা অনুযায়ী সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বন বিভাগ। সরকারি কর্মকর্তারা মনে করছেন বনভূমি দখলের জন্যই পরিকল্পিতভাবে এই আগুন লাগিয়েছে একটি মহল। গত মঙ্গলবার (১৭ মার্চ ২০২০) দুপুরে এ আগুন লেগে যায় বনে।
মঙ্গলবার আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় সন্ধ্যার দিকে নিভানো হয় আগুন। তবে গতকাল বুধবারও ধোঁয়া উড়তে দেখা যায় বনে।
এদিকে গতকাল বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন ও লাউয়াছড়া বন বিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে তদন্ত করে একটি দল। সেই সময় বনে প্রায় ৩ একর এলাকাজুড়ে ধোঁয়া উড়ছিলো।
তথ্যানুযায়ী এই বনে অনেক বন্য শূকুরের বিচরণ ছিল। পোড়া গন্ধের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে হয়তো কিছু বন্য শূকুরের বাচ্চা আগুনে পুড়ে মরে গেছে। পাশপাশি আগুনে বাশ, লতা, গুল্মজাতীয় ছোট আকারের গাছ ও জীববৈচিত্র্যের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
১৯৭৫ সাল থেকে এ বনে হীড বাংলাদেশের কার্যালয় রয়েছে। এখানের জমির পরিমাপ নিয়ে ব্যাপক জটিলতা রয়েছে। মোট ১৮৯ একর জমির পরিমাপ নিয়ে সমস্যা আছে বলে জানা যাচ্ছে। আর সেই সুযোগে স্থানীয় একটি মহল গড়ে তুলেছে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র। এজন্যই ধারণা কর হচ্ছে পরিকল্পিতভাবেই আগুন লাগানো হয়েছে।