ভারতের গঙ্গার পানি বাংলাদেশে ঢুকলে অকষ্মিক পদ্মাসহ বিভিন্ন নদনদীর পানি বৃদ্ধি পায়। হঠাৎ করে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমিসহ হাজার হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দি রয়েছে।তবে ইতিমধ্যে পনি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার কমে বর্তমানে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও রাজবাড়ী সদর উপজেলার মহেন্দ্রপুর ও পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টেও পদ্মার পানি কমেছে। তবে কমছে না স্রোতের তীব্রতা ও ভাঙন।সোমবার সকাল ৯টার দিকে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও দৌলতদিয়া ঘাট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পদ্মার তীব্র স্রোতে পানিতে ঘূর্ণন তৈরি হওয়ায় গত এক সপ্তাহের বেশি সময়ের ভাঙনে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটসহ জেলা সদরের মিজানপুরের মহাদেবপুর, গোদার বাজার, গোয়ালন্দের দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সহস্রাধিক বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠা, স্থাপনা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা। এখন ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে দৌলতদিয়ায়।
এদিকে পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।অল্প কয়েকটি ফেরি দিয়ে চলছে এ রুটে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার।এতে যাত্রী ও চালকরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মাহবুব হোসেন জানান, নদীর পানি আজ কিছুটা কমেছে। বর্তমানে ৯টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে এবং চারটি ঘাট সচল রয়েছে। নদী পারের জন্য দৌলতদিয়া প্রান্তে ১৫/২০টি বাস ও শতাধিক ট্রাক সিরিয়ালে রয়েছে।