টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় পোল্ট্রি খামারের বিষাক্ত বর্জ্যে প্রায় ৫০ একর জমির আমন ধানের গোড়া পচে ধানের শীষসহ গাছগুলো পুড়ে গেছে। বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ড্রেন ও পাইপ দিয়ে পোল্ট্রি খামারের বর্জ্য সরাসরি কৃষকদের ফসলি জমিতে ফেলা হচ্ছে। এতে করে প্রায় ৫০ একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে এলাকার মানুষের গণস্বাক্ষর নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার লখিন্দর ইউনিয়নের আকন্দেরবাইদে সিপি বাংলাদেশ লিমিটেড নামে পোল্ট্রি খামারটির ১৫ নম্বর শেট কৃষিজমি ঘেঁষে স্থাপন করা হয়েছে। খামারের বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছরই মুরগির বিষ্ঠা ও বর্জ্যে ধানসহ বিভিন্ন ফসল পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়।
ভুক্তভুগীদের দাবি, গত ৫ বছর যাবৎ এ ঘটনা ঘটছে। এ বছরও তাদের প্রায় ৫০/৫৫ একর জমির আমন ধানের গোড়া পচে ধানের শীষসহ গাছগুলো পুড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক লস্কর আলী জানান, খামার কর্তৃপক্ষকে প্রতিবারই ফসল ক্ষতির বিষয়টি জানানো হয় কিন্তু কোনো কাজে আসে না। উল্টো একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে তাদের মামলার ভয় দেখিয়ে দমন, পীড়ন ও নির্যাতন করা হয়। সিপি ভালুকা ১৫ নম্বর সেটের ম্যানেজার রাইসুল ইসলাম গত বছর কৃষকের ফসল ক্ষতি হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও এ বছরের ক্ষতির বিষয়টি অস্বীকার করেন।
টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মুজাহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, আমরা এ ব্যাপারে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে প্রধান করে এ ব্যাপারে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।