নিন্মমানের কীটনাশক ব্যবহারে অসুস্থ কৃষক, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় অবাধে কৃষিক্ষেতে প্রতিদিন কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে হাজারো কৃষক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
উপজেলার একশ্রেণীর কীটনাশক কোম্পানির প্রতিনিধিরা নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে কৃষকদের নিন্মমানের কীটনাশক ব্যবহারে উৎসাহিত করছেন। ফলে ফসলের উৎপাদন কমে যাচ্ছে।
এমনকি যত্রতত্র কীটনাশক ব্যবহারের ফলে কীটপতঙ্গ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি পরিবেশ বিষাক্ত ও মৃত্তিকার উর্বরাশক্তি দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে বলে মনে করছেন বেশিরভাগ কৃষক।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৬ সালে মাত্র তিনটি কীটনাশক কোম্পানির ব্যবহারের মধ্য দিয়ে এদেশে ফসলের বিষ প্রয়োগ ব্যবহার শুরু হয়। বর্তমানে দেশে দুই শতাধিক ট্রেডের ওষুধ বৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া নিষিদ্ধ ডিটিটি, হেপটাকোরিন ছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে আমদানি ও বাজারজাতকরণে যথাযথ নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না বিধায় এর ব্যবহার বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ধারণা।
স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা জানান, ওই সব কীটনাশকের আয়ু ২০ বছর। ফলে এসব কীটনাশক যত্রতত্র ব্যবহারে মানুষের ব্রেন, হার্ট, কিডনি ও লিভারের ক্ষতি হতে পারে। ইতোমধ্যে অনেক রকম পাখি ও মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
শাহেদল ইউনিয়নের কুড়িমারা গ্রামের সবজি চাষি পারভেজ জানান, শিম ও বেগুনের পোকা দমনে প্রতিদিন ফ্যান ফ্যান, সিকিউর, বেল্টসহ নানারকম কীটনাশক প্রয়োগ করেন। প্রতি মৌসুমে তারা সবজি ক্ষেতে ৮-১০ বার স্প্রে করে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস জানান, উপজেলায় প্রতিদিন গড়ে ৭০ লিটার কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে। এতে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে কৃষক। তবে এর ব্যবহার ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।