অতিকায় নীলচে ছায়াপথের ছবি ধরা পড়লো নাসার ক্যামেরায় – বিস্মিত মহাকাশপ্রেমীরা
ডিজিটাল ডেস্ক: অনন্ত মহাকাশের সুবিশাল অস্তিত্ব প্রতি মুহূর্তেই যেন বিস্ময়ের ঘোর লাগিয়ে দেয় মহাকাশপ্রেমী সহ পৃথিবীর সকল মানুষের।
আজ পৃথিবীর মাটিতে পা রেখেও শক্তিশালী টেলিস্কোপ ব্যবহারের মাধ্যমে সৌরজগত থেকে অসীম দূরত্বে অবস্থিত মহাজাগতিক সৌন্দর্যকে প্রত্যক্ষ করা এখন নতুন কোন বিষয় নয়। এবার NASA প্রকাশ করল এমন এক গ্যালাক্সি/ছায়াপথের ছবি যা পৃথিবী থেকে দশ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। তার নীলচে শরীর সত্যিই তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে।
সোমবার বাংলাদেশী সময় ভোর ৪ টা ২০ মিনিটে NGC 2336 নামের এক অতিকায় এক ছায়াপথের ছবি শেয়ার করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এই ছায়াপথটি খুজে পাওয়া অবশ্য বিজ্ঞানীদের কাছে নতুন কোন ব্যাপার নয়।
জ্যোতির্বিদ উইলিয়াম টেম্পল ১৮৭৬ সালেই পেয়েছিলেন করেছিলেন এই ছায়াপথের হদিশ। তবে তখন ছবি তোলার প্রযুক্তি এত আধুনিক ছিলোনা আর এবার সেই ছায়াপথের ছবিই তুলতে সক্ষম হল হাবল টেলিস্কোপ।
কেবল এনজিসি ২৩৩৬-এর ‘অতিকায়, সুন্দর’ নীল ছবিই নয়, তার পাশাপাশি ছায়াপথটি সম্পর্কে কৌতূহলোদ্দীপক ও অজানা সব তথ্যও জানিয়েছেন নাসা। জানা গিয়েছে, পৃথিবী থেকে কার্যত অসীম দূরত্বে অবস্থিত এই ছায়াপথটি আজ থেকে প্রায় ১৫০ বছর আগে আবিষ্কার করার সময় উইলিয়াম টেম্পল ব্যবহার করেছিলেন একটি মাত্র ১১ ইঞ্চির খুদে টেলিস্কোপ! এই ছায়াপথটির শরীর জুড়ে কেবল নীল রংই নয়, দৃশ্যমান লাল রং ও পরিলক্ষিত হয়।
নাসা জানিয়েছে, ছায়াপথটির বাহুতে রয়েছে নবীন নক্ষত্ররা। সেই কারণেই ওই উজ্জ্বল নীল রং এর সৃষ্টি। পাশাপাশি ছায়াপথটির কেন্দ্রের লাল রংয়ের উৎস হল অপেক্ষাকৃত বৃদ্ধ ও জলন্ত তারাগুলি।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে নাসার পারসিভারেন্স রোভার মঙ্গলের মাটিতে নেমে সেখানকার পরিস্থিতি জরিপ করে দেখছে। সম্প্রতি সেখানকার মাটিতে হাঁটাচলাও করতে দেখা গিয়েছে রোভারকে।
আশা করা হচ্ছে, মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে অজানাসব তথ্য জানাতে সক্ষম হবে রোভার নামের এই রোবটটি। এরই মধ্যে ব্রহ্মাণ্ডের সুদূর কোণ থেকে ভেসে আসা ছায়াপথের অপরিসীম সুন্দর ছবি নজরবন্দি হল হাবল স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে।