ধ্বংস করা হচ্ছে পাহাড়ি বনাঞ্চলের পরিবেশ
খাগড়াছড়িতে নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে পাহাড়ি বনাঞ্চল। প্রতিদিন প্রাকৃতি বন থেকে গাছ কাটার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। ধংস হচ্ছে খাগড়াছড়িতে শত বৃক্ষের প্রজাতি নিয়ে গড়ে উঠা প্রাকৃতিক বন যা অশ্রেনীভূক্ত বন সম্পদ। পার্বত্য এলাকায় সংরক্ষিত ও সৃজিত বন ছাড়া বাকীগুলো প্রাকৃতিক বন। বনখেকোদের দৌরাত্ম্যে এসব বনের কাঠ নির্বিচারে কাটা হচ্ছে।
এসব গাছ যায় ইটভাটা, সমিলসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক কাজে লাগানো হয়। ধ্বংস হচ্ছে সবুজ পাহাড়। এসব কাজে মজুরী ভিত্তিতে শ্রমিকদের যুক্ত করা হয়। তারা পাহাড় থেকে গাছ কর্তন ও পরিবহন করে। সারা বছর ধরে চলে বৃক্ষ নিধন।
চাপালিশ, চম্পাফুল, গামারিসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ কাটা হচ্ছে। আবর এসব গাছ ইটভাটাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। বন ধ্বংস হওয়ায় পরিবেশগত বিপর্যয় নেমে আসছে। বনের কাঠের একটি বড় অংশ ইটভাটার জ্বালানিসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বনের গাছ কাটার কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কা করে এই পরিবেশ কর্মী বলেন, বন ধ্বংস হওয়ায় বিপন্ন হচ্ছে পশু পাখির আশ্রয়স্থল । হুমকির মুখের জীব বৈচিত্র্য। বন মাটি নির্মল রাখে, পানির উৎস সতেজ রাখে এবং মাটির ক্ষয় রোধ করে।
বনের গাছ কাটা রোধে কঠোর পদক্ষেপ প্রত্যাশার কথা জানালেন পিটাছড়া বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ উদ্যোগ, খাগড়াছড়ি’র প্রতিষ্ঠাতা মাহফুজ রাসেল। তিনি বলেন, বন উছাড়ের কারণে বন্যপ্রানীর আবাসস্থল নষ্ট হচ্ছে । পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব তৈরি হয়।
বন্যপ্রাণীর আশ্রয় নষ্ট হয়। বনের গাছের বাণিজ্যিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। বন রক্ষায় পাহাড় থেকে গাছ কাটা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান পরিবেশ কর্মীরা। খাগড়াছড়িতে বন উছাড় বন্ধে প্রচলিত আইনের কঠোর প্রয়োগ চান স্থানীয়রা। অন্যথায় কোন এক সময় পরিবেশ বিপর্যয় নেমে আসবে পাহাড়ে।
তবে খাগড়াছড়ি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হুমায়ন কবির বনের গাছ কাটা বন্ধে অভিযান জোরদার করার দাবি করে জানান, বন আইন অনুযায়ী বনের কাঠ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ নেই। অবৈধভাবে কেউ বনের কাঠ পুড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গাছ কাটা বন্ধে ইতোমধ্যে বিজিবিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।