29 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
ভোর ৫:০৯ | ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
দ্বিগুণ হয়েছে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন
কৃষি পরিবেশ

দ্বিগুণ হয়েছে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন

দ্বিগুণ হয়েছে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধবনীতি এবং নানামুখী প্রণোদনার ফলে গত ১২ বছরে দেশে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

সচিবালয়ের অফিস কক্ষ থেকে ভার্চ্যুয়ালি ‘তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি’ প্রকল্পের জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরেও ভোজ্যতেলের বেশিরভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় এবং এর পেছনে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়।

দেশে তেলজাতীয় ফসল উৎপাদনের প্রধান সমস্যা হলো জমির স্বল্পতা। ধানসহ অন্যান্য ফসলের তুলনায় কৃষকেরা এ ফসল চাষে কম আগ্রহী ছিলো। বর্তমানে দেশে ফসল আবাদের ৭৫ শতাংশ জমিতে দানাজাতীয় ফসলের চাষ হয়। অন্যদিকে ক্রমশ তেলের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।



তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের বিজ্ঞানিরা উচ্চফলনশীল এবং স্বল্পকালীন উন্নত জাতের ধান ও সরিষার জাত উদ্ভাবন করেছেন। এগুলোর চাষ দ্রুত কৃষকের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া এবং জনপ্রিয় করতে পারলে ধান উৎপাদন বৃদ্ধি না কমিয়েও অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষাসহ তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে। সে লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় সমন্বিত কর্মসূচি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম বলেন, ব্রি ধান-৭১, ব্রি ধান-৮১, ব্রি ধান-৮৯, ব্রি ধান-৯২ সহ উন্নতজাতের ধান চাষ করে হেক্টর প্রতি এক টন পর্যন্ত উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।

এটি করতে পারলে ১০% জমি উদ্বৃত্ত থাকবে যাতে ধান চাষ না করে অন্যান্য ফসল চাষ করা যাবে। এছাড়া, উন্নত জাতের ধান এবং সরিষার চাষ করে শস্যের নিবিড়তা বাড়ানো সম্ভব।

প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন। প্রকল্পের উপস্থাপনায় জানানো হয়েছে, আমাদের দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদার ৯০ শতাংশ আসে বিদেশ থেকে।

আর দেশে উৎপাদন হয় মাত্র ১০ শতাংশ। ২০১৮-১৯ সালে বিদেশ থেকে ৪৭ লাখ মেট্রিক টন তেল ফসল আমদানি করতে হয়েছে। যার পিছনে ব্যয় হয়েছে ২৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।

সভায় জানানো হয়, ২৭৮ কোটি টাকার ‘তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি’ প্রকল্পটি ২০২০-২০২৫ মেয়াদে ২৫০টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে।

এর মাধ্যমে প্রচলিত শস্য বিন্যাসে কৃষিগবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিক্ষীত স্বল্পমেয়াদি তেল ফসলের আধুনিক জাত অন্তর্ভুক্ত করে সরিষা, সূর্যমুখী, তিল, চীনাবাদাম, সূর্যমুখী, সয়াবিনসহ তেল ফসলের আবাদ এলাকা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে।



২০০৯ সালে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৬ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। ২০২০ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টনে। ২০১৫ সালে তেল এবং চর্বি ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ২২ মিলিয়ন টন। তা বেড়ে ২০১৯ সালে হয়েছে ৩ দশমিক ০৮ মিলিয়ন টন।

মাথাপিছু তেল ও চর্বি ব্যবহারের পরিমাণ বছরে ২০১৫ সালে ছিল ১৩ দশমিক ৮০ কেজি তা বেড়ে ২০১৯ সালে হয়েছে আঠারো দশমিক ৭ কেজি।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) ড. মো. আব্দুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) হাসানুজ্জামান কল্লোল বক্তব্য রাখেন।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত