দূষণ বন্ধে আইন করলে হবে না, বাস্তবায়ন করা জরুরি
শুকনো মৌসুমে হেমায়েতপুর ও শ্যামপুরে সংশ্লিষ্ট নদীগুলোর পানির মান ভালো নয়। সদরঘাট ও হাজারীবাগের পানির গুনাগুনও প্রায় বছরের অন্যান্য মৌসুমের মতো খারাপ।
এই দূষণ বন্ধ করতে হলে শুধু আইন থাকলে হবে না, প্রতিষ্ঠান ও নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ। নীতি তৈরি ও বাস্তবায়নে আমাদের আচরণ পরিবর্তন করতে হবে।
সোমবার ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামের আয়োজনে ঢাকা শহরের পানি, বায়ু ও শব্দ দূষণ বিষয়ক পরিবীক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসাবে দ্বিতীয় ডাটা ভ্যালিডেশন কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. নূরুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী, উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনুস মিয়া, ন্যাকমের নির্বাহী পরিচালক ড. মুনজুরুল হান্নান খান, সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মাদ গোলাম সারোয়ার, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ প্রধান মইনুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. কে এম শরিফুল হুদাসহ অনেকে।
ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ‘সবচেয়ে খারাপ বায়ু এবং অপেক্ষাকৃত সবচেয়ে ভালো বায়ু কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ থাকে না। বায়ু চলাচলের পাশাপাশি খুঁড়াখুঁড়ি ও নির্মাণকাজ স্থানভেদে পরিবর্তনের পাশাপাশি বায়ুদূষণের এলাকা পরিবর্তন হয়।’
অধ্যাপক মোহাম্মাদ গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘বায়ুদূষণ আইনকে আইন হিসেবে না নিয়ে নীতিমালা হিসেবে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার মাধ্যমে এই উদ্যোগের উপযোগিতা কমে গিয়েছে।’
নগর বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, এ ধরনের গবেষণার প্রয়োজনীয়তা আছে।সরকারের এত বেশি মেগা প্রজেক্টসমূহে পরিবেশ দূষণ বিষয়ে উদাসীনতায় ঝুঁকে পড়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
শরীফ জামিল বলেন, ‘যেকোনও পলিসি বাস্তবায়নে আইন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শুধু আইন থাকলে হবে না, প্রতিষ্ঠান ও নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ। পলিসি তৈরি ও বাস্তবায়নে আমাদের আচরণ পরিবর্তন করতে হবে।’